শীতকালে রূপচর্চা- ৯টি কার্যকরী টিপস

চুল পড়া বন্ধ হতে ১০ টি উপায়শীতকালে রূপচর্চা প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া যখন শীত আসতে শুরু করে দেয় তখন আমাদের ত্বকে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। শীতের সময় যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তাহলে তাদের একটু স্বস্তি মেলে তবে যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের জন্য শীত মানে এক দুঃস্বপ্ন। 

শীতকালে-রূপচর্চা

শীতে ত্বকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় আর এ সমস্যার জন্য আমরা সব সময় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে চাই না। এই জন্য কিছু কিছু উপয় জেনে থাকলে আমরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারব। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে আমাদের ত্বকের যত্নে কি করনীয়।

পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালে রূপচর্চা

শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা কিভাবে দূর করা যায়

শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা কিভাবে দূর করা যায় তার সম্পর্কে হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই তাই আজকে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মধুর ব্যবহারঃ মধু শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে আমরা যদি ত্বকে মধু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিই তারপর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি তাহলে ত্বকের শুষ্কতা অনেকাংশই কমে যাবে।

টক দই এর ব্যবহারঃ প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট টক দই ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে এরপর উষ্ণ পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে তাহলে ত্বকের শুষ্কভাবে অনেক কাউন্সে কমে যাবে।

লেবুর ব্যবহারঃ লেবুতে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা চান রাখে সতেজ রাতে সাহায্য করে থাকে। একটি লেবু ফালি করে কেটে ত্বকের ওপরে ঘষতে পারেন তাহলে দেখবেন অনেক আর্দ্র হয়েছে এবং সতেজ হয়েছে এবং শুষ্কতা দূর হয়েছে।

ঠান্ডা দুধঃ আমাদের ত্বকে ক্লিনজিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যদি প্রতিদিন ক্লিনজিন ঠিকভাবে করে থাকি তাহলে তোকে শুষ্কতা দূর করে আদ্রতা বজায় রাখা যায়। ঠান্ডা দুধ ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটু বাটিতে পরিমাণ মতো ঠান্ডা দুধ নিয়ে তাতে কটনবার ভিজিয়ে মুখ ক্লিনজিং করলে মুখ অনেক সতেজ ও সুন্দর হয় এবং শুষ্কতা দূর হয়।

গ্রিন টিঃ শীতে ত্বক ভালো রাখতে টোনিংয়ের বিকল্প নেই টোনিংয়ের এর ক্ষেত্রে একটি গ্রিন টি প্যাকেট এক কাপ থেকে দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর তা ছেকে  নিয়ে রোজ সকালে কটন বার দিয়ে ব্যবহার করুন তাহলে দেখবেন শুধু টোনিং নয় আপনার ত্বককে সারা দিনের জন্য কমল ও সতেজ রাখবে।

এছাড়াও ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে হলে বাটার মিল্ক এর সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন তারপর দশ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে। আর প্রতিদিন ভার্জিন অয়েল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন রাতে তাহলে দেখবেন ত্বকের লাবণ্য ফিরে আসবে এবং শুষ্কতা দূর হয়ে যাব।

শীতকালে চুলের শুষ্কতা দূর করার উপায়

শীতকালে শুষ্কতা দূর করার উপায়। শীতকালে চুলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার জন্য বাতাসের আদ্রতা কমে যায় এবং চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। এ সময় চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন যদি চুলের যত্ন ঠিকঠাক না হয় তাহলে চুল ড্যামেজ হয়ে যায়। আসুন চুলের শুষ্কতা কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

প্রতিদিন চিরুনি করুনঃ প্রতিদিন নিয়মিত চুল আঁচড়ালে মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এতে করে চুল ও চুলের গোড়া সুস্থ থাকে তাছাড়া শীতকালে চুলে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ায় সহজে চুল জট বেঁধে যায় চুল ভালো করে আঁচড়ালে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে শোবার পূর্বে আমাদের উচিত চুল আঁচড়ানো তাহলে চুল নষ্ট হওয়ার হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা করা যায়।

নিয়মিত তেল ব্যবহারঃ চুলে তেল ব্যবহার করা প্রাচীন পদ্ধতি সপ্তাহে দুই একবার চুলে তেল লাগাতে হবে এতে করে চুল রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তবে চুলে তেল ব্যবহার করে অনেক দিন রেখে দেওয়া উচিত নয়। আমরা যদি সপ্তাহে দুই একবার একটু তেল কুসুম গরম করে মাথায় লাগায় এরপর সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলি তাহলে আমাদের চুলের গোড়া অনেক মজবুত থাকবে এবং শুষ্কতা দূর হবে।

ভিনেগার ব্যবহারঃ চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে যতগুলো উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ভিনেগার একটি কার্যকরী উপাদান। চুলে কন্ডিশনার করলে যে উপকার পাওয়া যায় চুল ভিনেগার দিয়ে যদি ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে ঠিক একই রকম ফলাফল পাওয়া যায়। আমরা যদি শ্যাম্পু করার পরে মাথা ধুয়ে নেই এরপর এক মগ পানিতে দুই চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পানিটা মাথায় ঢেলে নেই তাহলে চুল মসৃণ উজ্জ্বল হবে।

চুলে ঠান্ডা পানির ব্যবহারঃ যতই  শীত পড়ুক না কেন কখনোই চুলে গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না ।যদি আমরা চুলে গরম পানি ব্যবহার করে থাকি তাহলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যাবে এবং চুলের নানা ধরনের ক্ষতি হবে। চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।

অ্যালোভেরার ব্যবহারঃ অনেক আগ থেকেই চুলের যত্নে এলোভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে চুলের যত্নে এলোভেরার গুরুত্ব আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। চুলের যত্নে এলোভেরা জাদুকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি শ্যাম্পু করার আগে এলোভেরা জেল দিয়ে মাথায় মেসেজ করা হয় এবং কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া হয়। তারপরে শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে চুলের শুষ্কতা চলে গিয়ে চুল অনেক ময়েশ্চারাইজড হয়।

এছাড়াও মধুর ব্যবহার অনস্বীকার্য। চুলের রুক্ষতা দূর করতে ও আদ্রতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে মধু ব্যবহার হয়ে থাকে। চুল যখন নিষ্প্রাণ হয়ে যায় তখন যদি আমরা চুলের গোড়াই মধু দিয়ে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজে মাথায় কিছুক্ষণ বেঁধে রেখে দিই তাহলে চুলের শুষ্কতা কমে যায়। 

শীতকালে বাতাসের সাথে বেশি ধুলোবালি মিশে থাকে তাই বাইরে যাওয়ার সময় চুলে পাতলা কাপড় বা মাফলার জড়িয়ে বের হওয়া ভালো। যত সম্ভব চুল ঢেকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। শীতকালে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চুলের আগা অনেক বেশি ফেটে যায়  ফেটে যাওয়া অংশগুলো কেটে ফেলে দিতে হবে তাহলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

শীতে গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের কি হয়

শীতে গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের কি হয় তা হয়তো অনেকেই জানা নেই। শীতকালে আমাদের ত্বকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শীতের সময় আমাদের সকলকে সচেতন থাকা উচিত। আমরা শীতকালে অনেকে গরম পানিতে গোসল করে থাকি কিন্তু এটি মোটেও ঠিক না আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য। আমরা চাইলে কুসুম গরম পানিতে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে গোসল সেরে নিতে পারি ৫ মিনিটের বেশি কুসুম গরম পানিতেও গোসল করা ঠিক নয়।

আবার প্রতিদিন শরীরের সাবান ব্যবহার করা যাবে না। যদি সপ্তাহে দুই তিন দিন সাবান ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের তেমন ক্ষতি হবে না ।কিন্তু শীতকালে সপ্তাহে দুই দিনের বেশি সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয় যতটা পারা যায় সাবান ব্যবহার সীমিত করা ভাল।।যেগুলো আমাদের শরীরের ভাজ যুক্ত স্থান সেগুলো তো শুধু সাবান ব্যবহার করলে সাবানের ব্যবহার সীমিত হয়।

বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল করতে হবে যে সাবান গ্লিসারিনযুক্ত কিনা গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করলে তেমন ত্বকের ক্ষতি হয় না।

শীতকালে ত্বক ফাটা দূর করতে করণীয়

শীতকালের ত্বহাটা দূর করতে করণীয় গুলো কি কি চলুন জেনে নেওয়া যাক। শীতে গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের কি হয়প্রথমে ত্বক শুষ্ক হওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে। ত্বক যাতে কোন অবস্থাতে শুষ্ক না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেকোনো আবহাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো ময়স্টারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে ত্বকের মরা কোষগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে।

ওলের কাপড় ব্যবহারের পরিবর্তে সুতি ও আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন গোসল করার পূর্বে সারা শরীরে অলিভ অয়েল মেখে গোসল করুন। অলিভ অয়েল ব্যবহার করার নিয়ম হলো এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ৫ টেবিল চামচ লবণ এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি  মাস্ক তৈরি করুন।

তারপর তা সারা শরীর ও মুখে লাগান এবং আক্রান্তর স্থানে কিছুক্ষণ মালিশ করার পরে তা ধুয়ে ফেলুন আক্রান্ত স্থানে এটি ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে এবং ত্বক ফাটা রোধ করা যাবে। অ্যালোভেরা জেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে তা ব্যবহার করুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন তাহলে ভালো একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।

প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় অনেক শাকসবজি  যুক্ত রাখতে হবে।

শীতকালে ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায়

শীতকালের ঠোঁটফাটা দূর করার উপায় সকালের ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার আগমন বলে দিচ্ছে এই তো এলো শীত । শীত আসলে ত্বকের টানটান ভাব ও ঠোঁট ফাটা শুরু হয়ে যায়। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ছোট থেকে বড় প্রায় সকল ধরনের মানুষেরই ঠোঁট  ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য ঠোটের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।

শীতকালে-ঠোঁট-ফাটা-দূর-করার-উপায়

নারকেল তেলঃ নারকেল তেলের ফ্যাটিঅ্যাসিড থাকার কারণে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েলের রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন যদি দিনে দুইবার ঠোঁটে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয় তাহলে ঠোঁট থাকবে নরম এবং কোমল।

নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহারঃ ঠোঁটে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করার ফলে ঠোঁট যেমন নরম থাকবে তেমন ঠোঁটফাটাও দূর হবে। দিনে অন্তত তিন থেকে চার বার লিপ বাম লাগাতে হবে কোন অবস্থাতে ঠোঁট শুষ্ক রাখা যাবে না। ভিটামিন ই যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন কেননা এটি এন্টি অক্সিডেন্টের ভালো একটি উৎস যা ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং ঠোট ফাটা রোধ করে। 

প্রচুর পরিমাণে পানি পানঃ দেহের ভেতর থেকে ঠোটের পুষ্টি জোগাতে হবে এই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সবজির সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। দেহের ত্বকের যেমন হাইড্রেশন দরকার তেমন ঠোটের ও হাইড্রেশন দরকার অর্থাৎ দেহে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকতে হবে। তাই শীতকালে পানি পান করতে না ইচ্ছা করলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

এছাড়াও যদি মধু ও চিনি এর সাথে একটু অলিভ অয়েল একত্রে মিসড করে ঠোঁটে লাগানো যায় এবং কিছুক্ষণ পরে তা ধুয়ে ফেলা যায় তাহলে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হয় এবং ঠোঁট ফাটার ক্ষেত্রে ভালো কার্যকরী হয়।

শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ও চুলের যত্ন কিভাবে করব

শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ও চুলের যত্ন কিভাবে করব? শীতে প্রতিটি বাবা-মাকে তাদের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কারণ শীতের আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারনে বাচ্চাদের চুল ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় নবজাতক ও শিশুর বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

শীতকালে বাচ্চাদেরকে অনেক সময় ধরে গোসল করানো যাবে না গোসলের সময় অবশ্যই কুসুম  গরম পানি ব্যবহার করতে হবে এবং গোসল করানোর সাথে সাথে মাথাসহ পুরো শরীর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে। এরপর ভালো মানের লোশন বা অলিভ অয়েল শরীরে মাখিয়ে দিতে হবে। শিশুদের ত্বক শুষ্ক রাখা যাবে না প্রয়োজনে দুই তিনবার ময়েশ্চারাইজার মাখিয়ে দিতে হবে।

চুলের যত্নঃ বড়দের মতো ছোট বাচ্চাদেরও চুলে ময়লা জমে সেজন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করে দিতে হবে ।সবসময় চুল পরিষ্কার রাখতে হবে না হলে খুশকির মত সমস্যা হবে বা মাথার ত্বকে যে কোন ধরনের ফুসকুড়ি বা ঘা বের হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

 সপ্তাহে এক থেকে দুই বার নারিকেল তেল দিয়ে চুল ও মাথার ত্বক ভালোভাবে মেসেজ করে নিতে পারেন এতে করে শ্যাম্পু করার পরে চুল গুলো অনেক ঝরঝরা থাকবে।

শীতকালে হাত ও পায়ের যত্ন কিভাবে করব

শীতকালে হাত ও পায়ের যত্ন কিভাবে করব চলুন জেনে নেওয়া যাক। শীতকালে হাত ও পায়ে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। শীতের সময় যদি আমরা সঠিকভাবে হাত পায়ের পরিচর্যা না করে থাকি তাহলে হাত পায়ের ত্বক খসখসে শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে ওঠে। অনেকের হাতের চামড়া ফেটে যায় এবং তীব্র ব্যথা অনুভব হয়। শীতকালে কনুই ও পা এর গোড়ালি ফাটার সমস্যা প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করতে ১০ টি কার্যকরী উপায়

শীতকালে হাতও পা এর চামড়া শুষ্ক হয়ে যায় এজন্য আমরা যদি কাজ করতে যাই তার আগে কিছু নারিকেল তেল যদি ব্যবহার করে নেই তাহলে হাত ও পা আর্দ্র থাকে। হাত পায়ের চামড়া নরম থাকার কারনে শুষ্ক হয় না তাই শীতে নারিকেল তেল হাত পা ফাটা রোধ করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। যতটা পারা যায় গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ গরম পানি ব্যবহারের ফলে অনেক সময় হাত পা শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।

শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের বেশি এ সমস্যাটি দেখা দেয় কেননা গ্রামে ধুলোবালি বেশি এবং গ্রামের মানুষ বেশি কৃষিকাজের সাথে সম্পর্কিত। হাত পা যখন ফেটে যায় তখন আমাদের করণীয় হলো উষ্ণ গরম পানিতে একটু ভিনেগার মিশিয়ে হাত-পা মুছে নিতে হবে এরপর ইউরিয়া যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে ।

এরকম করে আমরা যদি এক সপ্তাহ মতো স্ট্রিম করার পরে এই ক্রিমটি ব্যবহার করি  তাহলে দেখা যাবে এক সপ্তাহের মধ্যে পা ফাটা এবং হাতের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া অনেক অংশে কমে  গেছে।

শীতকালে চুলে খুশকি হলে করণীয়

শীতকালে তুলে খুশকি হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের চুলে খুশকি হওয়া এটি একটি সাধারণ সমস্যা । সাধারণত খুশকি বলতে আমরা বুঝি মাথার ত্বকের চামড়ার পরত উঠা। এটা জটিল কোন সমস্যা নয়। সাধারণত কালো চুলে বেশি খুশকি দেখা যায় এবং ঘাড়ে যদি পড়ে তাহলে বেশি খেয়াল করা যায়। 

শীতকালে-চুলে-খুশকি-হলে-করণীয়

খুশকি বেশি হলে অনেক সময় মাথা ত্বক খুব চুলকায়  খুশকি আবার শীতের সময় বেশি হয়ে থাকে।ম্যালাসেজিয়া গ্লোবসা নামের এক ধরনের ফাঙ্গাসিস খুশকিরজন্য দায়ী। এই ফাঙ্গাসগুলো ত্বক ও চুলে থাকা তেল খেয়ে বেঁচে থাকে। এর সময় এই এই সময় ফাঙ্গাস গুলোএলিক এসিড তৈরি করে যা আমাদের মাথার ত্বকে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।

শীতকালে খুশকি থেকে বাঁচার উপায়ঃ

  • আমলকি ওর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মাথা ত্বকে লাগাতে হবে এবং সারাদিন রেখে দিতে হবে তার পরের দিন ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে খুশকি রোধে একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
  • চুলের খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে বেকিং সোডা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। বেকিং সোডা ব্যবহারের নিয়ম হল প্রথমে চুলটা ভিজিয়ে নিতে হবে এরপরে দুই চামচ বেকিং সোডা মাথার ত্বকে ঘষে নিতে হবে তারপরে ধুয়ে নিতে হবে। কিন্তু শ্যাম্পু করা যাবে না বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে চুল কিছুটা সুস্থ হয়ে যেতে পারে তবে ভয় পাওয়ার কারণ নাই কিছুক্ষণ পর তারা ঠিক হয়ে যাবে।
  • মাথায় অন্তত সপ্তাহে দুই দিন নারিকেলের তেল কুসুম গরম করে নিয়ে মেসেজ করতে হবে এবং পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে তাহলে দেখা যাবে অনেক অংশে খুশকি কমে গেছে।
নারিকেল তেলের সাথে যদি মেথি ব্যবহার করা হয় এবং মাথায় দেয়ার পরের দিন শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে ও খুশকি দূর করা সম্ভব হয়।

শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল রাখার উপায়

শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ

  • শীতকালে আমরা যদি নিয়মিত ভাবে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি তাহলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল রাখা সম্ভব। শীতকালে ওয়েল মেসেজ অত্যন্ত জরুরি খুবই দামী নামি ব্র্যান্ডের যে  অয়েল দিয়ে মাসাজ করতে হবে তা কিন্তু নয় খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়েও ত্বক মাসাজ করা যায় এবং টক হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
  • শীতে আমাদের ত্বক চর্চায় মধু খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুরো মুখে মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট পরে যদি মুখ ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে ত্বক অনেকটা উজ্জ্বল হয়।
  • এছাড়া ও আন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার পর্যাপ্ত ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ও নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের ওপরেও সুন্দর ত্বক নির্ভর করে থাকে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমি আশা করছি যে আপনারা উক্ত আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং কিভাবে শীতকালে  সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও আর্টিকেলের মধ্যে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ত্বক ও চুলের যত্ন কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি এ আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে আমরা আমাদের লেখনীর মাধ্যমে আপনাদের লাইফ স্টাইল সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো আপনারা যদি এই ধরনের আরো আর্টিকেল পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url