১ টি খেজুরে কত ক্যালরি - খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
১ পিস মাছে কত ক্যালরি১ টি খেজুরে কত ক্যালরি তা আমরা অনেকে জানিনা। তাই যদি আপনারা এ বিষয়ে
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে
হবে। কেননা খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যগত উপকারও অনেক
বেশি তার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে খেজুর সুপার ফুড নামে পরিচিত।
যারা খুব বেশি স্বাস্থ্য সচেতন তারা তিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে
না তারা তাদের বিকল্প হিসেবে বেছে নেয় খেজুর । কেননা স্বাস্থ্যের জন্য
দারুন কার্যকরী এই ফল যা বিশেষ পুষ্টিগুণে ভরপুর। ফলটিতে অ্যান্ট অক্সিডেন্ট,
ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার , সহ আরো অনেক
পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে।
- ১ টি খেজুরে কত ক্যালরি
- খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
- পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা
- সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়
- খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে
- শেষ মন্তব্যঃ ১ টি খেজুরে কত ক্যালরি
১ টি খেজুরে কত ক্যালরি
১ টি খেজুরে কত ক্যালরি থাকে তা নিয়ে আজকের আমাদের এই
আলোচনা। খেজুর এমন একটি সুমিষ্ট ও সুস্বাদু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল যাতে উচ্চ
ক্যালরি রয়েছে। আমরা যদি খুব অল্প পরিমানে খেজুর গ্রহণ করে থাকি তাহলে তা
আমাদের শরীরে দ্রুত ক্যালরি সরবরাহ করে এবং শক্তি যোগায়। খেজুর খাওয়ার ফলে
অনেক সময় ক্লান্তি অনুভব হয় না কেননা খেজুর কে শক্তির উৎস বলা হয়। আসুন
তাহলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- শক্ত-২৩ ক্যালোরি
- শর্করা-৬.২ ক্যালোরি
- চিনি-৫.৩ গ্রাম
- আমিষ - ০.২
- ক্যালসিয়াম - ১৩ মিলিগ্রাম
- ফাইবার-২.৮ গ্রাম
- প্রোটিন-১ গ্রাম
- একটি বড় অথবা ৩০ গ্রাম খেজুরে ৯০ ক্যালরি বিদ্যমান থাকে।
খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তবে উপকারিতা অনেক বেশি। এটি কেবল শুধু
একটি সুস্বাসুক্রোজ দু ফল নয় বরং এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যারা
স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন তারা খেজুর কে সুপার ফুড বলে থাকে। এমন
একটি ফল যা কাঁচা খেলে যেমন উপকার ঠিক শুকনো খেলেও অনেক উপকার পাওয়া
যায়। খেজুর কার্বোহাইড্রেট ফাইবার ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এ খনিজ এর মত অনেক
পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা নিম্নে আলোচিত হলো।
আরো পড়ুনঃ
১ প্লেট ভাতে কত ক্যালরি
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর: খেজুরের মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। খেজুরের
মধ্যে ভিটামিন বি, নিয়াসিন, ফলেদের মত বিভিন্ন ভিটামিন বিদ্যমান। আবার
ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানি কপার এর মত বিদ্যমান। এই উপাদান গুলো আমাদের
শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কেননা এগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে থাকে।
২.শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ সুক্রোজ, রয়েছে যা
আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সক্ষম। তাই শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের
খাবারের তালিকায় একটি করে খেজুর রাখা উচিত। কেননা শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যতগুলো
আদর্শ খাবার রয়েছে তার মধ্যে খেজুর একটি অন্যতম।
৩.পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি: পরিপাকতন্ত্রের উন্নতির ক্ষেত্রে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ
পালন করে থাকে। কেননা খেজুরের মধ্যে ফাইবার ডায়েটরি উপাদান রয়েছে যা এর বিভিন্ন
কার্যকলাপ সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। কেউ যদি নিয়মিত খেজুর খেয়ে
থাকে তাহলে তার পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকবে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
৪.হৃদরোগের ঝুকি কমায়: খেজুরের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখতে থাকে। হৃদরোগের অন্যতম একটি প্রধান কারণ হলো রক্তচাপ বৃদ্ধি
পাওয়া।কেউ যদি খেজুর খাই তাহলে তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে হৃদরোগের
ঝুঁকি কম থাকে।
৫.ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে। খেজুরে চিনির পরিমাণ থাকলেও তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় কারণ এই একটি
হল প্রাকৃতিক চিনি শরীরের জন্য অনেক উপকারী ও শক্তি যোগাতে সক্ষম। এছাড়াও এটিতে
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। যা অল্প খেলে দীর্ঘক্ষন পেট ভরে থাকে তাই বারবার
খাবার ইচ্ছা জাগেনা অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে
থাকে।
খেজুরের অপকারিতা
- খেজুরের অনেক অনেক পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও ডায়াবেটিস রোগী যদি অনেক বেশি পরিমাণে খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা খুব পরিমিত পরিমাণে খেজুর খাবেন।
- এছাড়াও যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তারা যদি অধিক পরিমাণের খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে তাদের শরীরে অনেক সময় পাশে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাওয়া উচিত।
- কারো যদি অ্যাজমার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে খেজুর না খাওয়াই ভালো। কেননা খেজুরের মধ্যে ছাচ থাকে যা অনেকর ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
-
কেউ যদি অনেক বেশি পরিমাণে খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে তার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা
পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা অনেক বেশি উপকারী। খেজুরে অনেক পুষ্টি উপাদান
রয়েছে যেগুলো শরীরকে সাহায্য করে থাকে। আর খেজুর প্রাকৃতিক চিনি থাকার
জন্য শক্তি বাড়াতে সক্ষম হয় কোন পুরুষ যদি প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় খেজুর
রাখে তাহলে তার কাজ করার শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে যৌন শক্তি ও বৃদ্ধি
পেয়ে থাকে। পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতাবিস্তারিত জেনে নেওয়া
যাক।
আরো পড়ুনঃ
পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা
১. শক্তি বৃদ্ধি করেঃ খেজুরের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা
যেমন গ্লুকোজ সুক্রোজ রয়েছে। যার ফলে কেউ যদি নিয়মিত খেজুর খেয়ে
থাকে তাহলে তার শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলে সে অনেক ধরনের কাজ করার পরেও ক্লান্তি
অনুভব করে না সর্বদা এনার্জি পায়।
২. যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ খেজুর একটি পরিচিত ফল যা অনেক পুষ্টিগুণে
ভরপুর। বহু প্রাচীনকাল থেকে পুরুষদের যৌন শক্তিবর্ধক হিসেবে খেজুর ব্যবহার
হয়ে আসছে।খেজুরের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এমাইনো এসিড বিদ্যমান থাকে যা যৌন
শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।কারো যদি যৌন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে কিছু
খেজুর যদি দুধের ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে পরের দিন খায় তাহলে খুব ভালো
ফলাফল পাবে।
৩. হৃদপিণ্ড ভালো রাখেঃ খেজুর একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল যাতে রয়েছে
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মত উপাদান এগুলো রক্তের চাপ
নিয়ন্ত্রণ করে যার প্রভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে এর জন্য হৃদপিণ্ড
ভালো থাকে। কেননা হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া তাই
যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে হৃদরোগ ভালো থাকে।
৪. মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেঃ খেজুরের মধ্যে ভিটামিন বি ৬ এবং
ম্যাগনেসিয়াম থাকে।বর্তমানে অনেক মানুষ মানসিক চাপে থাকে। এই মানসিক চাপ থেকে
মুক্তি পাওয়ার জন্য খেজুর খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। ম্যাগনেসিয়াম এর মত
উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকার জন্য মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে এবং মানসিক প্রশান্তি অনুভব
হয়।
৫. ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করেঃ খেজুরের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে যার
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই কেউ যদি প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখে তাহলে তার জ্বর সর্দির কাশির মতো যে সমস্যাগুলো সেই
সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি কেননা খেজুর এমন একটি খাবার যা শরীরের
যত্ন নিতে সারা বছর কাজ করে থাকে। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা খেজুরের উপর
সারাবছর ভরসা রাখে।।পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য খেজুর অনেক বেশি উপকারী। তবে
খেজুর যদি কেউ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খালি পেটে খায় তাহলে আরো
ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আসুন সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য
সমস্যা দূর করে থাকে।খেজুর শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে না বরং হজমেও ব্যাপকভাবে
সাহায্য করে থাকে। কারো যদি হজমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে প্রতিদিনের খাদ্যে
তালিকায় খেজুর যোগ করতে ভুলবেন না।
মস্তিষ্ক সতেজ রাখেঃ খেজুরের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, খেজুর
খাওয়ার ফলে অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমে যায়। আর কেউ যদি মানসিক চাপমুক্ত
থাকতে চায় তাহলে অবশ্যই তার খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে হবে কেননা খেজুর
মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে মানসিক চাপ মুক্ত রাখতে কাজ করে থাকে।
হাড় মজবুত করেঃ হাড় মজবুত করার ক্ষেত্রে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে কেন না খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা হাড় শক্ত করতে
কার্যকরী।আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও খেজুর খুবই উপকারী বাচ্চাদের রক্তের পরিমাণ
বাড়াতে হলে অবশ্যই খেজুর ভিজিয়ে খেতে দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করেঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে এটির
স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করে না এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রতিহীন ভিটামিন যা আমাদের
শরীরের ঘাটতি পূরণ করে এবং সকল ধরনের কাজকর্ম করতে শক্তির যোগান দেয়।
গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারীঃ খেজুর এমন একটি উপকারী ফল যা গর্ভবতী
মায়েদের ক্ষেত্রেও খুবই উপকারী।অনেক সময় দেখা যায় গর্ভবতী মায়েদের
রক্তের ঘাটতি।আর এই রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য খেজুর খাওয়ার ভূমিকা
অনস্বীকার্য। এছাড়াও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খেজুর কাজ করে
থাকে।
ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়ঃ খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি ৫ , ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের মুখের ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে
সক্ষম। তাই ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় খেজুর
যুক্ত করতে হবে।
তোকে সৌন্দর্য ধরে রাখতেঃ কে না চায় সুন্দর থাকতে আর ত্বকের সৌন্দর্য
ধরে রাখতে অবশ্যই খেজুর খেতে হবে।কেননা ত্বক সজীব ও সুন্দর রাখতে খেজুর
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা চেহারার সৌন্দর্যকে প্রাধান্য
দিয়ে থাকেন তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর এড করতে ভুলবেন না।
অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়
অতিরিক্ত খেজুর খেলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ যদি
অতিরিক্ত খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে তার ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার
অনেক বেশি খেজুর গ্রহণ করলে রক্তের শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।বিশেষ করে
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অত্যাধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তারা যদি খুব বেশি
পরিমাণে খেজুর খেয়ে ফেলে তাহলে তাদের রক্তের ইনসুলিন এর মাত্রা বেড়ে যাবে এবং
বড় ধরনের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাই ডায়াবেটিস রোগীরা যদি খেজুর খেতে চাই তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী খেজুর খাবে কিংবা খুব পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করবে কখনোই খুব বেশি পরিমাণে
গ্রহণ করবে না। এছাড়াও যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তারাও বেশি
খেজুর খেতে পারবে না। আবার কেউ যদি বেশি পরিমাণে খেজুর গ্রহণ করে তাহলে
সেক্ষেত্রে গ্যাসের বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি কারো কারো ক্ষেত্রে
ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
খেজুর খেলে কি ওজন বৃদ্ধি হয়
খেজুর খেলে কি ওজন বৃদ্ধি হয় এটা অনেকে জানে না। খেজুর আমাদের সকলেরই
পছন্দের একটি ড্রাই ফুড। ছোট থেকে বড় খেজুর পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া
দুষ্কর সকলের পছন্দের তালিকায় খেজুর সবার আগে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু
ঠিক তেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খেজুর খেয়ে নেয়
তাহলে তার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক খেজুর
খেলে কি ওজন বৃদ্ধি হয় কিনা।
খেজুর খেলে সাধারণত মানুষ মোটা হয় না কারণ খেজুরের মধ্যে যে চিনি থাকে সেটি হল
প্রাকৃতিক জিনিস যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য দায়ী নয়। কিন্তু কেউ যদি
অতিরিক্ত খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে আবার সে ক্ষেত্রে মোটা হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা
থাকে। কেননা খেজুরের মধ্যে ফাইবার ভিটামিন এবং প্রাকৃতিক চিনি
রয়েছে। সকল উপাদানের চাইতে খেজুরের মধ্যে চিনি ও ক্যালরির পরিমাণও অনেক
বেশি তাই কেউ যদি অনেক বেশি পরিমাণে খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই
ওজন বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
শেষ মন্তব্যঃ ১ টি খেজুরে কত ক্যালরি
খেজুর চিনেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না খুব পরিচিত একটি ফল হল খেজুর যা
অত্যন্ত ক্যালরিবহুল একটি খাবার। আপনারা জানেন কি খেজুর কে প্রাকৃতিক শক্তির
উৎস বলা হয় কেননা খেজুরে রয়েছে ভিটামিন , ক্যালসিয়াম, আয়রন , ফসফরাস
পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম জিংক। একটি খেজুর থেকে আমরা ২৩ কিলো ক্যালোরি পেয়ে
থাকি।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং ১ টি
খেজুরে কত ক্যালরি পাওয়া যায় সেটি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলটি যদি
আপনাদের বিন্দু পরিমাণে উপকারে আসে তাহলে আমাদের সার্থকতা। এই
আর্টিকেলটি যদি আপনাদেরকে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। এরকম আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে
থাকুন ধন্যবাদ।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url