গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না অনেকে জানতে চান। যদি আপনারা একদম সঠিক ইনফরমেশন পেতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। কেননা প্রেগনেন্সি পিরিওডে আমরা বিভিন্ন ধরনের একটু বেশি খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত থাকি তার মধ্যে ফল হল অন্যতম। কেননা ফল হল ভিটামিন ও মিনারেল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। 
গর্ভাবস্থায়-কি-কি-ফল-খাওয়া-যাবে-না
তাই অনেকের মনে এমন প্রশ্ন থাকতে পারে যে কোন ধরনের ফল গুলো খেলে আমাদের প্রেগনেন্সি পিরিয়ডে বেশি উপকার আবার কোনগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। একজন গর্ববতী মা যদি সর্বদা তার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকে তাহলে সন্তান ও মা ও হয় সুস্থ থাকে। আসুন তাহলে আমরা নিউট্রিশিয়ানিস্ট ডাক্তার আয়েশা সিদ্দিকা কাছে থেকে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলো খাওয়া যাবে না। 

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় তার অনাগত সন্তানের কথা ভেবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তার সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এমন অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা ভালো এই ধরনের খাদ্য গ্রহণ করলে মা ও শিশুর জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে এমন কিছু ফল রয়েছে যেগুলো গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় না জেনে খেয়ে ফেলে।আসুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা। 
প্রথম তিন মাস গর্ভধারণের বয়স হলে অবশ্যই আপনাকে আনারস এড়িয়ে চলতে হবে কেননা আনারসে ব্রোমেলিন নামক একপ্রকারের উপাদান রয়েছে যা গর্ভপাত করাতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস না খাওয়াই ভালো। তাছাড়াও আনারস করবা অবস্থায় খেলে জরায়ুতে তীব্র সংকোচনও হতে পারে। আনারসের বিদ্যমান ব্রোমলিন এক ধরণের এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙ্গে ব্যয় যার ফলে অনেক সময় জরায়ু নরম হয়ে অকাল গর্ভপাত হয়ে যায়। 

পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি থাকা সত্ত্বেও অনেক নিউট্রিশিয়ানিস্ট গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেতে নিষেধ করে বিশেষ করে কাঁচা পেঁপে খেতে নিষেধ করে থাকেন। পাকা পেঁপে খুব বেশি ক্ষতি করে না তবে কাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় খেলে লাটেক্স থাকার জন্য এটি মা ও শিশুর জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। কেননা এটি জরায়ুকে নরম করে যে কোন সময় অকাল গর্ভপাত ঘটাতে পারে। এমনকি পেপে ভ্রুনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। 

এছাড়া ও গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।কালো সবুজ দুই ধরনের আঙ্গুর এড়িয়ে চলা ভাল। তবে এই বিষয়ে মিশ্র মতামত রয়েছে কেউ কেউ বলে আঙ্গুর খেলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যাবে কোন ক্ষতি হবে না আবার কেউ বলে যে আঙ্গুর না খাওয়াই ভালো। কেন না আঙ্গুরে থাকার যৌগিক উপাদান অনেক সময় গর্ভবতী নারীর জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এছাড়াও কালো আঙ্গুরের চামড়া অনেক সময় হজম করা কষ্টকর হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় মুখের রুচি থাকে না সবসময় বমি বমি ভাব হয় এবং টক খেতে ইচ্ছে করে। আর এই টক এর কথা বলতেই তেতুলের কথা আগে চলে আসে তবে গর্ব অবস্থায় তেতুল না খাওয়া ভালো। কেননা তেতুলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিপদে হতে পারে।গর্ভবতী নারী যদি প্রচুর পরিমাণ তেতুল খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীরের প্রোটেস্ট এর উৎপাদন কমে যায় ফলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

গর্ভাবস্থায় যে সকল ফল এড়িয়ে চলা দরকার সেগুলোর মধ্যে কলার নামও উল্লেখ রয়েছে। কেননা এর মধ্যে লেটেক্স জাতীয় উপাদান বিদ্যমান।তরমুজ আমাদের খুবই পরিচিত একটি ফল যা সকলের পছন্দ করি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় তরমুজও না খাওয়া ভালো কেননা এটি শরীরের সকল ধরনের টক্সিন ধ্বংস করে দেয় এছাড়াও ভ্রুণের বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে তবে এটি গর্ববতী নারীর জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর ।গর্ভবতীর নারী পরিমিত পরিমাণ এটি গ্রহণ করতে পারবে। 

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া যাবে কি হ্যাঁ অবশ্যই গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া যাবে। তবে সব খাবার মাত্রা অতিরিক্তগ্রহণ করা  ভালো না ঠিক তেমন খেজুর ও খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয় এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে মা ও শিশুর উভয়ে স্বাস্থ্য উপকার পেয়ে থাকে। কেননা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ১৪০০ বছর আগে গর্ভবতী মহিলাদের খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে বলে গেছেন। 
গর্ভাবস্থায়-খেজুর-খাওয়া-যাবে-কি
এছাড়াও বর্তমানে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তাই গর্ভবতীর খেজুর খাওয়া নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চিন্তে পরিণত পড়ি মানে খেজুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারে এবং খেতে পারে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে ডেলিভারি পেন অনেকটা কম হয়ে থাকে। এটি অনেকগুলো গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে এটি মনগড়া কোন কথা নয়। 

একজন গর্ববতী আইডির সন্তান প্রসব করার সময় অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় আর এই খেজুর গ্রহণ করার ফলে শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা গর্ভবতী নারীর জন্য খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় আয়রনেরমাত্রা  ঠিক রাখতে হয় কেননা প্রসব করার সময় গর্ভবতী নারীর শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায় এইজন্য গর্ব অবস্থায় বা প্রসবের পরে নিয়ম করে খাওয়া আয়রনের ঘাটতি থাকে না আমনের মাত্রা পূরণ হয়ে যায় য়।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া যাবে কি 

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া যাবে। কিসমিস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ড্রাই ফুড। এটি যদি কেউ গর্ভাবস্থায় খেয়ে থাকে তাহলে তার গর্ভের সন্তানের হাড় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। কেননা এটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে তা দূর হয়ে যায় কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে। 

এছাড়াও কিসমিস আ্রযরনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে গর্ভার্বস্থায় গর্ভবতী নারীর জন্য আয়রনের ভূমিকা অত্যাধিক। কেউ যদি প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখে তাহলে তার আইয়রনের ঘাটতি  পূরণ হয়ে যায় এবং আয়রনের ঘাটতি থেকে যে ধরনের রোগ গুলো হয় যেমন রক্তস্বল্পতা , অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। এছাড়াও পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে ও শক্তি যোগায় রক্ত কণিকা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে কিসমিস । 

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ফারজানা রহমান কানতা বলেন, গর্ভাবস্থায় যদি একজন মা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকে তাহলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় কেননা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বলতে এখানে মাছ মাংস ডিম এই ধরনের খাবার কে বোঝানো হয়েছে। তবে এ সময় অনেক মায়েরা এই ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারেনা। 

যদি এগুলো সরাসরি খেতে না পারে তাহলে সেগুলো একটু ভিন্ন ভাবে খেতে হবে কেউ যদি ডিম সরাসরি না খেতে পারে তাহলে ডিমের হালুয়া পড়ে খাওয়ার ট্রাই করবে। আবার যদি মাছ না খাওয়া যায় তাহলে ফিস কাটলেট করে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া প্রাণীজ আমিষ মাংস এগুলো খুবই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিস বানিয়ে খেতে হবে যদি আপনি সরাসরি খেতে না পারেন। গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকায় দুধও রাখতে হবে। 
এছাড়াও বিভিন্ন রঙ্গিন শাক-সবজি ফলমূল এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখতে হবে। যেমন ব্রকলি পালং শাক টমেটো গাজর সিম।এছাড়া ও সিজনাল যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়ার প্রতি নজর দিতে হবে। এই ধরনের খাবারগুলোতে গ্লুটিন নামক একও ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য খুবই উপকারী। এইগুলো ছাড়া ওমেগা থ্রি যুক্ত ফ্যাটি  অ্যাসিড গ্রহণ করতে হবে।ওমেগা থ্রি বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য খুবই উপকারী। 

সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়। সূর্যমুখী বীজ সিমের বীজ এছাড়াও বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় প্রায় সকল পুষ্টিবিদরা বাদাম কে খাওয়ার জন্য সাজেশন দিয়ে থাকেন কেননা এটি অনেক উচ্চ ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার যা বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টে খুব ভালো কাজ করে থাকে। তাই বাচ্চাকে বুদ্ধিমান ও মেধাবী করতে চাইলে অবশ্যই গর্ব অবস্থায় পরিণত পরিমাণে প্রতিদিন বাদাম খেতে হবে। 

বাচ্চা মেধাবী হওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় যদি মা এর ভিটামিন ডি কম হয় তাহলে বাচ্চা কখনই উন্নত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারবে না। তাই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন দুধ ডিম কলিজা মাংস এ খাবারগুলো খেতে হবে।  প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে। কেননা সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়া ও ড্রাই ফুড কিসমিস খেজুর এ ধরনের খাবার খেতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় কি মাছ খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি মাছ খাওয়া যাবে না এটা অনেকের প্রশ্ন থাকে। কেননা এটি একটি ক্রিটিক্যাল সময় এ সময় খাওয়া-দাওয়া ব্যাপারে একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়। কেননা খাওয়ার ব্যাপারে যদি সতর্কতা অবলম্বন না করে তাহলে মা ও শিশু যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই চলুন আর দেরি না করে গর্ভাবস্থায় কি ধরনের মাছ খাওয়া যাবে না সেই বিষয়টি খুব ভালোভাবে জেনে নেই। 
গর্ভাবস্থায়-কি-মাছ-খাওয়া-যাবে-না
গর্ভাবস্থায় যে কোন মার্কারি বা রাসায়নিক যুক্ত মাছ গ্রহণ করা যাবে না কেন না উচ্চ রাসায়নিক যুক্ত মাছ যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে বাচ্চা প্রসবের পর যেকোন ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। আমরা অনেকে গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ বা চাষ করা পাঙ্গাস মাছ খেয়ে থাকি এ মাছগুলো গর্ভাবস্থায় না খাওয়া ভালো।এছাড়াও আমাদের কাছে জনপ্রিয় একটি মাছ হল টুনা ফিস। একজন গর্ভবতী মায়ের সর্বদা এই মাছগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো কেননা এগুলো খাওয়ার ফলে যে কোন বিপদ হতে পারে। 

শেষ মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এ বিষয় নিয়ে আজকে আর্টিকালে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এগুলো ছাড়াও কি খেলে বাচ্চা সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করবে এবং কি খাওয়া গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা উচিত এই বিষয়গুলো নিও আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। 

প্রিয় ভিজিটর আপনাদের যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ধরনের ভুল কিছু আপনাদের চোখে পড়ে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে অবগত করবেন আমরা তার সংশোধন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url