প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ - ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাসপ্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি তা অনেক মহিলারাই জানেন না। প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার যেমন আনন্দের বিষয় হয়ে ওঠে ঠিক একই ভাবে দুশ্চিন্তারও বিষয় হয়ে ওঠে। কেননা প্রথমবার গর্ভবতী হলে অনেক মেয়েরা তা বুঝতে পারেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনি খুব সহজে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন।
প্রথমবার-গর্ভবতী-হওয়ার-লক্ষণ
গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৬০% এর বেশি মহিলার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। আর আট সপ্তাহের মধ্যে ৯০ শতাংশ বেশি মহিলা প্রেগনেন্সির লক্ষণগুলো অনুধাবন করতে পারেন। আপনার যদি নিয়মিত মাসিক না হয়ে থাকে এবং মাসিকের সঠিক হিসাব না রাখেন তাহলে আপনি সহজে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন না।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে গবেষণা ভিত্তিক আলোচনা করা হলো। গর্ভধারণের সবচাইতে প্রচলিত বা তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ হল পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হওয়া। প্রায় বেশিরভাগ নারীর প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক বা পিরিয়ড হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে তা হল আপনার মাসিক সময়ে হচ্ছে কিনা। যদি আপনার মাসিক সঠিক সময় না হয় অর্থাৎ মাসিক হওয়ার সময় পার হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন।
আর কোন নারীর যদি মাসিক আগে থেকে অনিয়মিতভাবেই হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য এর লক্ষণটি বোঝা একটু কষ্টকর হয়ে থাকে। যদি আপনার মাসিক নিয়মিত না হয় অথবা আমি আপনার ঋতু চক্রের হিসাব ঠিকভাবে রাখতে না পারেন তবে আপনার পিরিয়ড মিস হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারার পূর্বে বমি ভাব, বুকের স্পর্শকাতরতা ও ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ। যদি আপনি নতুন গর্ভবতী হন তাহলে খাবারের প্রতি আপনার অনিহা চলে আসবে অর্থাৎ খাওয়ার প্রতি রুচি থাকবে না।

এ সময় আপনার বিভিন্ন খাবারের উপর গন্ধ লাগতে পারে। যদিও এর কোন কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। এটা হয়তো আপনার শরীরে দ্রুত এস্ট্রোজেন হরমোন বৃদ্ধি হওয়ার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আবার অনেক সময় হতে পারে যে খাবারগুলো আপনার কাছে খুবই পছন্দের ছিল সে খাবারগুলোর প্রতি আপনার কোন এখন আগ্রহ নেই। গর্ভাবস্থায় মেজাজের উঠানামা বা পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে।

হরমোনের আধিক্যের জেরে কখনো রাগ কখনো বা দুঃখ তখন আবার আনন্দে ভরে ওঠা এরকম মুড সুইমিং হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় তার মধ্যে এটিও অন্যতম। প্রত্যেকে এ পরিবর্তনে আলাদা হবে সাড়া প্রদান করে থাকে। প্রথমবার গর্ভবতী হয়েছেন এরকম অনেকেই উচ্চমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। যা ভালো বা মন্দ উভয়ই হতে পারে। আবার অনেকেই এই সময় বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তায় ভুগতে পারেন। আশা করি প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। একজন মহিলা যখন দ্বিতীয় বার গর্ভবতী হয় তখন তার কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যে লক্ষণ গুলো সে মহিলার ক্ষেত্রে ঘটলে সে একদম নিশ্চিত হতে পারে যে সে গর্ভধারণ করেছে। একজন মহিলা প্রথম গর্ভবতী হওয়ার থেকে দ্বিতীয় গর্ভবতী হওয়ার সময় আগের থেকে পরেরবার খুব সহজেই জেনে যেতে পারে। প্রথমবার অনেক মহিলারাই বুঝতে পারে না যে সে গর্ভধারণ করেছে কিনা।

কিন্তু দ্বিতীয়বার কিছু লক্ষণের জন্য সহজে বুঝতে পারে যে সে মা হতে চলেছে। গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষণ হল পিরিয়ড বা মাসিক মিস হয়ে যাওয়া। আমরা জানি প্রত্যেকটা নারী প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট সময় মাসিক হয়ে থাকে। অর্থাৎ একজন বিবাহিত নারী যখন তার মাসিক সঠিক সময় হয় না অর্থাৎ সে বুঝে নিতে পারে যে সে হয়তো বা মা হতে চলেছে। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হল পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার আগাম লক্ষণ হলো খাবারের উপর রুচি উঠে যাওয়া।

দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে একজন মহিলার বেশিরভাগ সময় বমি বমি ভাব হতে পারে। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো ঘন ঘন প্রসাব হওয়া। যখন কোন মহিলা গর্ভবতী হয় তার প্রথম সপ্তাহের দিকে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া শুরু করে। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো ক্ষুধা অনেক কম লাগা। খাবার থেকে কোন একটা গন্ধ অনুভব করা। আবার অনেক সময় দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে শরীর ঝিমঝিম করে এবং শরীরের দুর্বলতা অনুভূত হয়।

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো। আমরা জানি গর্ভাবস্থার সময় কালকে এক থেকে চল্লিশ সপ্তাহ পর্যন্ত ধরা হয়ে থাকে। তার মধ্যে প্রথম সপ্তাহে আপনি অফিশিয়ালি গর্ভবতী নন। প্রথম সপ্তাহ হোক বা দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই সপ্তাতে আপনি এখনো গর্ভবতী হননি কিন্তু এ দুই সপ্তাহে গর্ভবতী হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আর এ সময় আপনার জরায়ু প্রস্তুত হতে শুরু করে। এ সপ্তাহে গর্ভবতী মহিলার মেজাজ পরিবর্তন হতে পারে।
গর্ভবতী-হওয়ার-দ্বিতীয়-সপ্তাহের-লক্ষণ
আপনি যদি এ সপ্তাহে গর্ভধারণ করে তাহলে আপনার নিঃসৃত ডিম্বাণুটি তৃতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে থেকে চতুর্থ সপ্তাহ সপ্তাহ পর্যন্ত আপনার জরায়ুতে স্থানান্তরিত হবে। আর তখন আপনি অফিসিয়ালি গর্ভবতী হবেন। আর যদি আপনার ডিম্বাণুটি নিঃসরণ হতে না পারে তাহলে আপনার জরায়ু থেকে এনডি-মেট্রিয়াম ভেঙে যাবে। আর রক্তপাত হতে শুরু করবে। সে সময় আপনার ডিম্বাণুটি পিরিয়ডের মাধ্যমে ব্লাড এর সাথে বের হয়ে চলে আসবে।

গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি তা জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক। গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে বেশ কিছু বিষয় লক্ষণ করা যায় তা হলো এই সপ্তাহে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। এটি গর্ভধারণের সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক লক্ষণ। তথ্য সপ্তাহে মাসিক না হলে এটিকে সবাই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে থাকে।

চতুর্থ সপ্তাহে বুকে ব্যথা বা সংবেদনশীলতা হতে পারে। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্তনে ব্যথা, ফোলা বা সংবেদনশীলতা অনুভূত হতে পারে। মলাশয় হালকা রক্তপাত হতে পারে। ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং হতে পারে, যা সাধারণত হালকা গোলাপি বা বাদামি রঙের হয়। এটি এক-দুই দিন স্থায়ী হতে পারে। এ সপ্তাহে যদি আপনার ক্লান্তি অনুভূত হয় তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনি মা হতে চলেছেন। কেননা শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

সময় যদি আপনার বমি বমি ভাব হয় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। কিছু নারী এই সময়ে খাবারে অরুচি বা বমি বমি ভাব অনুভব করেন। যদিও এটি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরও বেশি হতে পারে। আবার আপনার যদি ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন হয় তাও বুঝে নিতে পারেন যে আপনি হয়তো মা হতে চলেছেন কেননা হরমোনের তারতম্যের কারণে মেজাজ হঠাৎ ভালো বা খারাপ হতে পারে। তবে আপনি শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য গর্ভধারণ পরীক্ষা করাতে পারেন।

গর্ভবতী হওয়ার ৬ষ্ঠ সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার ৬ষ্ঠ সপ্তাহের লক্ষণ কি জানেন কি? না জানলে বিস্তারিত পড়তে থাকুন। গর্ভবতী হওয়ার ষষ্ঠ সপ্তাহে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। গর্ভাবস্থার ষষ্ট সপ্তাহের দিকে অনেক নারী সকালে তার বমি বমি ভাব হতে পারে। এটা শুধু সকালেই নয় বরং দিনের অন্যান্য সময়ও হতে পারে। এ সময় শরীরে অনেক ক্লান্তি চলে আসতে পারে। শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আপনি অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।

ষষ্ট সপ্তাহে অনেক মহিলা বুকে ব্যথা বা বুক ফুলে যেতে পারে। বুক নরম ও স্পর্শকাতর হতে পারে। এ সময় স্তনের আকারেও সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। হরমোনের ওঠানামার কারণে মুড পরিবর্তন দেখা দেয়। কখনো আনন্দিত, কখনো হতাশ অনুভব করতে পারেন। এই সময়ে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং জরায়ু চাপ দিতে শুরু করে, ফলে মূত্রত্যাগের তাগিদ বাড়ে। হরমোনের কারণে পাচনতন্ত্র ধীরগতিতে কাজ করে, যা বুক জ্বালা বা বদহজমের কারণ হতে পারে।

গর্ভবতী হওয়ার ৭ম সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার ৭ম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় বয়স যখন সপ্তম সপ্তাহ হয় তখন বাচ্চার আকৃতি প্রায় একটা কালোজামের সমান হয়ে থাকে। এ সময় ভ্রন প্রায় লম্বাতে এক সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এ সময় আপনি আপনার গর্ভবতী হওয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিন্ত থাকেন। আপনার পেটে ভ্রন টি প্রায় প্রতি মিনিটে ১০০ টি করে কোষ তৈরি করছে। যা থেকে মস্তিষ্ক বিকাশিত হচ্ছে। তাই ভ্রুনের মাথার আকার শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় অনেক বড় হয়।
গর্ভবতী-হওয়ার-৭ম-সপ্তাহের-লক্ষণ
এ সময় ভ্রূণের চোখের পাতা বড় হতে শুরু করে। কর্নিয়া আইরিস চোখের মনি লেন্স এ সপ্তাহে তৈরি হওয়া শুরু করে। এমনকি শিশুর মুখ ও হাড়ের গঠন এ সপ্তাহেই তৈরি হওয়া শুরু হয়। সপ্তম সপ্তাহে কিডনি সহ মূত্রনালী বিকাশিত হতে থাকে। আপনার শিশুর বাহু হাত-পা কাঁধ সপ্তম সপ্তাহে আকার নিতে শুরু করে। ভ্রূণের যকৃত ও অগ্নাশয় গঠনের প্রক্রিয়াটি এই সপ্তাহে শুরু হয়। সপ্তম সপ্তাহে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায় পরিবর্তনগুলো নিচে দেওয়া হল।
এ সময় গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের ওজন একটু একটু করে বাড়তে শুরু করে। এ সময় গর্ভবতী মহিলার হরমোন দিনদিন বাড়তেই থাকে। এ সময় বুকের স্তন অনেক সংবেদনশীল হয় বা অনেক স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। এ সময় ঘন ঘন বমি ভাব সহ মাথা ঘুরতে পারে। এ সময় আপনার স্রাবের সাথে সামান্য পরিমাণ রক্ত দেখা দিতে পারে। অনেক গর্ভবতী মহিলারা এসময় কিছু কিছু খাবারের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না। যা শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারনে হয়ে থাকে।

গর্ভবতী হওয়ার ৮ সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার ৮ সপ্তাহের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। গর্ভবতী হওয়ার অষ্টম সপ্তাহে আপনার জরায়ুর আকার বড় হতে শুরু করে। এ সময় আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময়ে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে আবার অনেক সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। এ সময় অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হালকা মাথাব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দেখা যেতে পারে।

শেষ মন্তব্যঃ প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষণ হলো মাসিক মিস হওয়া, বমি ভাব, ক্লান্তি, এবং খাবারের প্রতি অরুচি। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেজাজের ওঠানামা এবং বুকে ব্যথা বা সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জরায়ু প্রস্তুত হতে শুরু করে, এবং ষষ্ঠ সপ্তাহে বমি ভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব, এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়। সপ্তম সপ্তাহে ভ্রূণের গঠন শুরু হয়, এবং অষ্টম সপ্তাহে জরায়ুর আকার বড় হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের সমস্যা ও মেজাজের পরিবর্তন দেখা যায়।

প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে কোথাও যদি ভুল ত্রুটি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর বিষয়টি অবশ্যই আমাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবেন আমার পরবর্তীতে তা সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টের নিচে অবশ্যই একটি গঠনমূলক মন্তব্য করতে ভুলবেন না। কেননা হতে পারে আপনাদের একটি মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। প্রতিদিন এরকম নিত্য নতুন তথ্যবহুল কন্টেন্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটকে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url