বিট ফল খাওয়ার নিয়ম - বিট ফল এর উপকারিতা
খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাবিট ফল খাওয়ার নিয়ম অনেকে জানে না। কিন্তু এ বিট ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা
রয়েছে।শীতের সময় নানা ধরনের সবজির সমাহার থাকে তার মধ্যে বিট একটি
অন্যতম। এটি কাঁচা ও রান্না করে দুই ভাবে খাওয়া যায়। এটি দেখতে যেমন
সুন্দর তেমন অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন ও খনিজ উপাধানে
ভরপুর।
বিটরুট দেখতে গোলাপী বা লালচে রঙের হয়ে থাকে এটা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত না
। আমাদের দেশের মানুষ এখনো এটি সম্পর্কে তেমন জানে না এটার উপকারিতা কি একটি
খাওয়ার নিয়ম কি। তাই আজকে আমাদের আর্টিকেলের বিষয় হলো বিটরুট
খাওয়ার নিয়ম ও বিটরুটের উপকারিতা তাই আসুন দেরি না করে এ বিষয়ে জেনে
নেওয়া যাক।
- বিট ফল খাওয়ার নিয়ম
- বিট ফল এর উপকারিতা
- বিট খাওয়ার অপকারিতা
- বিট কি কাঁচা খাওয়া যায়
- বিট খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
- বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম
- শেষ মন্তব্যঃ বিট ফল খাওয়ার নিয়ম
বিট ফল খাওয়ার নিয়ম
বিট ফল খাওয়ার নিয়ম জানেনা অনেকে। বর্তমানে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিট ফল
কিভাবে খেতে হয় সেটা সম্পর্কে জানেনা। বিট রুট কেউ চাইলে কাঁচা খাই আবার
কেউ রান্না করে খায়। তবে রান্না করে খাওয়ার চাইতে কাঁচা খেলে বেশি পুষ্টি
উপকার পাওয়া যায়। বিটরুট জুস বানিয়ে খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়
এছাড়া স্মুদি এবং সালাদ বানিয়ে খাওয়া যায়। কেউ চাইলে যে কোন সবজির
সঙ্গে বিটরুট যোগ করে খেতে পারে।
বিট ফল এর উপকারিতা
বিটফল এর উপকারিতা অনেক বেশি, কেননা এর মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে
ভরপুর। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ফলেট, রিবোফ্লাবিন ,
পটাশিয়াম, এই উপাদান গুলো মানুষের স্বার্থের জন্য খুবই
উপকারী। কেননা পটাশিয়াম পেশিকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। আর কে মজবুত
রাখতে সাহায্য করে থাকে। অনেক বেশি ভিটামিন ও খনির উপাদানের জন্য
বিটরুটকে সুপারফুড বলা হয়ে থাকে আসুন বিট রুটের উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ নাই ট্রেড বিদ্যমান
রয়েছে। ইউনাইটেড আমাদের দেহে প্রবেশ করার মাধ্যমে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত
হয়। আর এটি শরীরের রক্তচাপ ঠিক রাখতে দারুন ভাবে কাজ করে
থাকে। নাইট্রিক অক্সাইড এর মাধ্যমে আমাদের রক্তনালীর খুব ভালোভাবে কাজ করে
থাকে এবং সিস্টোলিক ও ডায়াস্টলিক দুই ধরনের রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভালোভাবে রক্ত প্রবাহের ক্ষেত্রে বিটরুট ভালো কাজ করে
থাকে ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমায়ঃ যাদের দিন ওজন বাড়ার সমস্যা বেড়ে চলেছে তারা অবশ্যই আপনাদের
খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।কেননা ১০০ গ্রাম সেদ্ধ বিটরুটে পাবেন মাত্র ৪৪
ক্যালোরি, ১ দসমিক ৭ গ্রাম প্রোটিন, ০ দশমিক ২ গ্রাম ফ্যাট ও ২ গ্রাম
ফাইবার। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কমথাকার কারণে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু সেদ্ধ বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ বিদ্যমান
থাকে তাই ক্যালোরি কম থাকলেও পুষ্টিগুণ পাবেন অনেক বেশি।
শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ যারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে থাকেন তারা অবশ্যই
বিটরুটের জুস খেতে পারেন। কেননা বিটরুট এর মধ্যে নাইট্রেট এর মত উপাদান থাকে
যা কোষের শক্তি উৎপাদক ও মাইক্রোকন্ডিয়াল কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য
করে। যার ফলে শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অনেক গবেষণা থেকে দেখা
যায় যে বিটের জুস শরীরের সহনশীলতা ও কার্ডিওরেসপিরেটরি সহ অন্যান্য অনেকগুলো
অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
প্রদাহ কমায়ঃ বর্তমান সময়ে প্রায় সকল মানুষের প্রদাহার সমস্যা দেখা দেয়
আর রোগ বালায় সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ হলো এই প্রদাহ। আমাদের শরীরে যদি কোন
ছোটখাটো সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলো প্রদাহের রূপ ধারণ করে। আর প্রদাহ নির্মূল
করতে বিটরুট ভূমিকাপালন করে। কেননা বিটরুটের মধ্যে এন্টি ইনফ্লামেটরি থাকে
যা হোক বিরোধী হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এটির মধ্যে বিটলেইন নামের একটি রঞ্জক
উপাদান রয়েছে যেটিও প্রদাহে বিরোধী হিসেবে কাজ করে।
অন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখেঃ অন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখতে বিটরুট গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। ভালো হজমের জন্য সব সময় সাহায্য করে থাকে ফাইবার ও আস আর
বিটরুটে এই উপাদানগুলো অনেক বেশি রয়েছে। শরীরে যতগুলো বিষাক্ত টক্সিন
রয়েছে তা পরিষ্কার করতে বিট রুট খুব ভালো কাজ করে থাকে।এছাড়াও বিটরুটের
রস শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যা
খুবই প্রয়োজনীয়।
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতেঃ মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে বিট রুটের ভূমিকা
অপরসীম। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক দুর্বল হতে শুরু
করে। আর বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ করতে সাহায্য করে যার ফলে স্মৃতিশক্তি
বৃদ্ধি পায় । তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে অবশ্যই আমাদের খাদ্য তালিকায়
বিটরুট যোগ করতে হবে কেননা বিট রুট মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
থাকে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় বিট ফল খাওয়ার নিয়ম-বিটফলের উপকারিতা অনেক
বেশি।
বিট খাওয়ার অপকারিতা
বিট খাওয়ার অপকারিতা আছে তবে উপকারিতা অনেক বেশি। বিট হল
শীতকালীন সবজি যা আমাদের কাছে অনেক প্রিয়। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
পুষ্টিগুণ। তবে কেউ যদি খুব বেশি পরিমাণে বিটরুট খেয়ে থাকে তাহলে অনেক সময়
বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই যাদের কিছু
নির্দিষ্ট রোগ রয়েছে তারা অবশ্যই এই খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। তাই আসুন দেরি
না করে বিট খাওয়ার অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিয়েটা রুট খাওয়া
বিপদজনক। কারণ এতে থাকা নাইট্রেট পরিপাকতন্ত্রকে নাইট্রিক অক্সাইড এ পরিণত
করে যা রক্তচাপ আরো কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই যারা নিম্ন রক্তচাপের মত
রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিটরুট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
।
২. যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে বা কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু
বিট খাওয়া যাবেনা কিডনি রোগের যারা তারা যদি বিটরুট খেয়ে থাকে তাহলে তাদের বিপদ
বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা বিটরুটে থাকা অক্সালেট কিডনিতে পাথরের
প্রবণতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
৩. বিটের রস থেকে অনেক সময় এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে । এছাড়াও গলায়
ভোকাল কর্ডে এটি খাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে যা খাবার গিলে খেতে
সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়াও কেউ যদি বেশি পরিমাণে বিটরুট খেয়ে থাকে তাহলে
তাদের ত্বকে ফুসকুড়ি চুলকানির মত সমস্যা দেখা যায়। তাই বলতে
পারি বিটফল এর উপকারিতা যেমন আছে আবার কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতা ও আছে
তবে অপকারিতের চাইতে উপকারিতা অনেক বেশি।
বিট কি কাঁচা খাওয়া যায়
বিট কি কাঁচা খাওয়া যায় এটা অনেকের প্রশ্ন থাকে এ প্রশ্নোত্তের উত্তর হবে
অবশ্যই হ্যাঁ। বিটরুট একটি শীতকালীন সবজি যা দেখতে অনেক সুন্দর এবং অনেক
পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর রং গাঢ় লাল এটি দেখতে যতটা সুন্দর ঠিক ততটাই
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অনেক অনেক পুষ্টি বিজ্ঞানীর মতে রান্না করে
খাওয়ার চাইতে কাঁচা বিটরুট খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ
কাঁচা বিটরুটে ফাইবার ভিটামিন এবং খনিজ অনেক বেশি থাকে।
বিশেষ করে ফলেট ম্যাঙ্গানি জ পটাশিয়াম যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি
উপকারী উপাদান। কাঁচা বিটরুটে থাকা পটাশিয়াম আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য
এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।এছাড়া ও কাঁচা
বিটরুটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে এবং
প্রদাহ জনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা বিটরুট জুস করে খাওয়া যায় আবার
স্মুদি ও সালাদ করে খাওয়া যায়।
বিট খেলে কি হয়
বিট খেলে কি হয় এটা সম্পর্কে অনেকে জানেনা। বিট আমাদের শরীরের জন্য খুবই
উপকারী একটি সবজি যা শীতকালে পাওয়া যায় এর রং লাল হয়। বিটরুট শীতকালীন
সবজি হলেও বর্তমানে সব সময় এটি দেখা যায় ।এইসবজিতে অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান
থাকার জন্য এটাকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন খনিজ
উপাদান থাকে এছাড়াও আইরন জিংক আয়োডিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ
ভিটামিন এ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। বিট খেলে কি হয় আসুন জেনে নেওয়া যাক।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে তারা যদি বিটরুট খায় তাহলে রক্তচাপ কমবে কেননা বিটরুটে নাইট্রাস রয়েছে যা রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।
-
চোখের সমস্যা দূর করে থাকে। বিটরুটে লুটেইন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা
চোখের সমস্যা দূর করে।
- এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করেও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
-
এটি প্রদাহ বিরোধী কারণ এর মধ্যে ট্রালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ রয়েছে।
-
এটি অন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে
যা বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে।
-
বিটরুটে আয়রন বিদ্যমান থাকে যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং রক্তস্বল্পতা
কমায়।
-
বিট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
করে।
-
বিট এ এমন উপাদান রয়েছে যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য
করে।
-
বিটরুটের রসে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা শরীরের টক্সিন বের করে দিতে
পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
রক্তের কোলেস্টরেল বেশি থাকলেবিটরুট এর জুস তা কমাতে সাহায্য
করে।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বিটরুট হলো এক ধরনের মূল জাতীয়
সবজি আমাদের দেশে দিন দিন বিট খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিটে প্রচুর
পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।
তাছাড়া বিটএ খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় গর্ভের ভ্রুনকে সুরক্ষা
প্রদান করে। তাই আসুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় বিটরুট
খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি।
আরো পড়ুনঃ
কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় একটি অন্যতম সমস্যা হলো
কোষ্ঠকাঠিন্য। আর এ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিট এর ভূমিকা
অপরিসীম। কেননা বিটরুটে ফাইবারের মতো উপাদান রয়েছে যা হজমে
সাহায্য করে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে থাকে।
আয়রনের ঘাটতি পূরঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মানুষের আয়রনের ঘাটতি দেখা
যায়। আর এ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে বিট রুটের ভূমিকা
অনস্বীকার্য। কেননা যদি গর্ভবতীর শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে
সে খুব ক্লান্ত বোধ করে এবং দুর্বল হয়ে যায়। তাই গর্ভবতী
মহিলাদের বিট খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম।
অ্যানিমিয়ার ঝুকি কমায়ঃ বিটে প্রচুর পরিমাণ আইরন থাকার জন্য লোহিত
রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় বিটরুট খেলে
মা ও শিশুর অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি থাকে না। তাই বিট ফল খাওয়ার নিয়ম-বিটফলের
উপকারিতা অনেক বেশি।
প্রদাহ বিরোধীঃ গর্ভবতী মহিলা অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা
অনুভব করে। আর বিটের মধ্যে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের ব্যথা
উপশমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিটেন নামক উপাদান
থাকার জন্য শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট বা সন্ধিগুলোতে যে প্রদাহ থাকে সেগুলো
প্রতিরোধ করতে পারে।
বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম অনেকে জানে না। কিন্তু বিটরুট পাউডার অনেক
উপকারী হলেও এটি যদি সঠিক নিয়মে না খাওয়া যায় তাহলে অনেক সময়
পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে । এইজন্য বিট রুট পাউডার খাওয়ার আগে অবশ্যই
নিয়মকানুন ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তাহলে আসুন দেরী না করে বিটরুট পাউডার
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন জেনে নেওয়া যাক।
-
প্রতিদিন ১-২ চামচ পাউডার খাওয়া নিরাপদ তবে এটি ধীরে ধীরে খাওয়া শুরু করা
উচিত।
-
খালি পেটে খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে ব্যায়ামের আগ
মুহূর্তে।
-
বিটরুট পাউডার যেকোনো পানীয়, স্যুপ,সালাদা অন্যান্য খাবারের সাথেও মিশিয়ে
খাওয়া যায় এটি শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য
সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
শেষ মন্তব্যঃ বিট ফল খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম বিট ফল খাওয়ার নিয়ম বিটফল এর
উপকারিতা গুলো কি কি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি খুব ভালোভাবে পড়েছেন এবং বুঝতে
পেরেছেন। বিট ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কেননা এর মধ্যে অনেক ধরনের
ভিটামিন ও খনিজ বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের
প্রত্যেকের খাদ্য তালিকায় বিটরুট রাখা উচিত।
আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের পরিচিতদের কাছে
শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনারা যদি আমাদের পোস্টে কোনরকম ভুল ত্রুটি দেখতে
পান তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন তাহলে আমরা তার সংশোধন করার চেষ্টা
করবো ইনশাআল্লাহ।এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে
থাকুন ধন্যবাদ।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url