কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক - কাঠ বাদামের উপকারিতা
চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতাকাঠবাদামের ক্ষতিকর দিক রয়েছে এটা শুনতে হয়তো অনেক অবাক লাগবে। কেননা
এটাই এমন এক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যাতে অনেক পুষ্টির সমাহর রয়েছে। তবে তার
পরেও যেমন কাঠবাদামের অনেক উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ক্ষতিকর দিক
রয়েছে। তাই কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
প্রিয় পাঠক কাঠবাদাম একটি পুষ্টিকর ড্রাই ফুড যেটি ভিজিয়ে রেখে খেলে
শরীরের অনেক ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। কাঠ বাদাম হজম ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোন পুরুষ মানুষ যদি প্রতিদিন তার খাদ্য
তালিকায় সাতটি করে কাঠ বাদাম রাখে এবং তা নিয়ম করে গ্রহণ করে তাহলে তার
শুক্রানুর মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
পেজ সূচিপত্রঃ কাঠবাদামের অপকারিতা
- কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক
- কাঠ বাদামের উপকারিতা
- কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
- কাঠ বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে
- প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
- কাঠ বাদাম কখন খাওয়া উচিত
- কাঠ বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- শেষ মন্তব্যঃ কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক
কাঠবাদামের ক্ষতিকর দিক
কাঠবাদামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা উক্ত আর্টিকেলে আলোচনা করব। আমরা
সকলেই কম বেশি কাঠ বাদাম চিনি। কেননা এটি এমন একটি ড্রাই ফুড যাতে
রয়েছে মানব দেহের জন্য অনেক পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্য উপকারী উপাদান। প্রতিদিন
যদি কোন মানুষ তার খাদ্য তালিকায় কাঠবাদাম রাখে তাহলে সে আশ্চর্য রকমের উপকার
পেয়ে থাকে। তবে এত উপকার সত্ত্বেও এর মাত্রা অতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতির
কারণ হতে পারে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যায় কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক।
আরো পড়ুনঃ
ভরা পেটে রসুন খেলে কি হয়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ কাঠবাদাম খেলে যে সকল সমস্যা গুলো হয় তার মধ্যে
অন্যতম একটি সমস্যা হল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। অনেক সময় অতিরিক্ত কাঠবাদাম
খাওয়ার ফলে গ্যাসের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।যা অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হতে
পারে।
ওজন বৃদ্ধি পাওয়াঃ কেউ যদি পরিমাণে বেশি কাঠ বাদাম খেতে থাকে তাহলে তার ওজন
বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার মত সমস্যা অনেক বেশি
তারা কখনোই বেশি পরিমাণে কাঠ বাদাম খাবেন না। কেননা কাঠ বাদামে প্রচুর
পরিমাণ ক্যালরি ও ফ্যাট বিদ্যমান তাই অতিরিক্ত এটি খাওয়ার ফলে ওজন
অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাঃ কাঠবাদাম একটি পুষ্টিকর ড্রাই ফুড এতে প্রচুর
পরিমাণ অক্সালেট তৈরি করার মত উপাদান থাকে যা শরীরের জন্য খুবই
উপকারী। কেননা এটি অনেক ধরনের জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। তবে আপনি
যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটি খুব বেশি পরিমাণে
অক্সালেট উৎপাদন করবে যা একসময় কিডনিতে জমতে শুরু করে।আর তা ধীরে ধীরে পাথরে
রূপান্তরিত হয়। ফলে পেটে মারাত্মক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়।
এছাড়াও কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরের জন্য
খুবই উপকারী উপাদান বিশেষ করে ত্বক ও চোখের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই এর কোন
জুড়ি নেই। তারপরেও আপনি যদি পরিমাণে বেশি কাঠ বাদাম গ্রহণ করে ফেলেন তাহলে এটি
আপনার জন্য উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ই গ্রহণ
করার ফলে পেটের ভেতরে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এর ফলে অনেক সময়
পেট ব্যথা ডায়রিয়া বদহজম হতে পারে।
কাঠ বাদামের উপকারিতা
কাঠবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আমরা কম বেশি অনেকে জানি। কেননা এটি
খুবই পরিচিত একটি ড্রাই ফুড। এটি ছোট বড় সকলেই খেতে খুব বেশি পছন্দ করে
থাকে। এটি একটি উপকারী ড্রাই ফুড। এটি অনেক ধরনের খাবারের আইটেমের সাথে
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা তাদের খাদ্য তালিকায়
এটি যুক্ত রাখে। কেননা এতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানুষের শরীরের
জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিচে কাঠ বাদামের উপকারিতা দেওয়া হল।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেঃ কাঠবাদাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। অনেকে মনে করেন যে কাঠবাদামের ফ্যাট ও ক্যালোরি থাকার
কারণে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে তবে এটি সঠিক নয়। কেননা এতে প্রচুর
মনোআনস্যচুলেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই ফ্যাটি
অ্যাসিড রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি
রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদাম কাজ করে
থাকে। কেননা ১০০ গ্রাম কাঠ বাদামে ৭০০ মিলিগ্রাম মতো পটাশিয়াম
থাকে। আর পটাশিয়াম শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। তাই
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাঠ বাদাম রাখলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার কোন আশঙ্কা
থাকে না। উচ্চ রক্তচাপ একজন মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই কোনভাবে যাতে
রক্তের উচ্চচাপ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
কালোজিরা খেলে কি হয়
হার্ট ভালো রাখেঃ কাঠবাদামে বিদ্যমান মনোআনস্যচুলেটেড ফাটি এসিড
রক্তের কোলেস্টেরলের এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর এতে
বিদ্যমান পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক
হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। তাই হার্ট ভালো রাখতে হলে অবশ্যই খাদ্য
তালিকায় কাঠবাদাম রাখতে হবে। কেন না হার্ট অ্যাটাক মানুষের জন্য অনেক বড়
আতঙ্কের। হার্ট অ্যাটাক হলে অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর
এটিতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক কম। যেই কারণে নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলেও
রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাওয়ার কোন
আশঙ্কা থাকে না। এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ক্ষুধা কম লাগে তাই ঘন ঘন খেতে
ইচ্ছে করেনা। যাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তারাও নিয়ম করে এটি
খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মস্তিষ্কের বিকাশেঃ বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ক্ষেত্রে ও কাঠ বাদাম অনেক
উপকারী একটি খাবার।কেননা শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে। কাঠবাদামে যেমন ভিটামিন ই রয়েছে ঠিক তেমনি আরো অনেক পুষ্টি
সম্পন্ন নিউট্রিশন ও মিনারেলস রয়েছে। তাই শিশুদেরও যদি পরিমিত
পরিমান প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কাঠ বাদাম দেওয়া যায় তাহলে শিশুর যেমন
মেধাবকশিত হয় তেমনি স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যা দূর হয়।
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতেঃ কাঠবাদামে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিদ্যমান। আমরা
অনেকে জানি যে হার হার মজবুত ও ভালো রাখতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের
গুরুত্ব অনেক বেশি। আর কাঠ বাদামে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান তাই
যদি কেউ প্রতিদিনের খাবারে কাঠ বাদাম গ্রহণ করে থাকে তাহলে তার হাড়ের
শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া গর্ভবতী মা ও যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ এটি গ্রহণ করে
তাহলে শিশুর হাড় শক্ত ও মজবুত হয়।
কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম আসুন জেনে নেওয়া যাক। কাঠবাদাম অনেক পরিচিত একটি
ড্রাই ফুড এটি ছোট বড় সকলের পছন্দের একটি খাবার। যাতে প্রচুর পরিমাণ
পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলের জন্য অনেক
উপকারী একটি শুকনো ফল যা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি
পায়। তবে সকল গুনাগুন সঠিকভাবে পেতে হলে অবশ্যই এটি নিয়ম মেনে খাওয়া
উচিত। কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো।
কাঠবাদাম খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। এটি দিনের যেকোনো অংশে খাওয়া
যেতে পারে। তবে সব সময় পরিমিত পরিমাণে গ্রহন করা উচিত। একসাথে অনেক
বেশি কাঠ বাদাম খাওয়া ঠিক নয়।যদি কেউ বেশি পরিমাণ কাঠ বাদাম খেয়ে থাকে
তাহলে তার অনেক সময় বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে
কাঠবাদাম রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেলে অনেক বেশি
উপকার পাওয়া যায়।
কাঠবাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে
কাঠবাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে এটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। কেউ কেউ মনে
করেন কাঠ বাদামের ফ্যাট থাকার কারণে এটি খেলে হয়তো অনেক ওজন বেড়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে তবে এই ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। এতে যে পরিমাণ ফ্যাট
বিদ্যমান তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী ফ্যাট তা মোটেও স্থুলতা সৃষ্টির
জন্য দায়ী নয়। আসুন তাহলে দেরি না করে কাঠবাদাম খেলে ওজন বাড়ে কিনা তা
জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন তারা অনেকেই তাদের ডায়েটে খাবার হিসেবে
বাদাম রাখেন কেননা বাদামে অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। তবে অনেকে আবার মনে করেন
বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় তবে এ ধারণাটি গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়টা
নিয়ে পুষ্টিবিদ কোয়েল বলেন, কাঠ বাদাম হল অনেক উপকারী একটি উপাদান যা
নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তবে তা পরিমিত পরিমাণে খেতে
হবে। এতে ফ্যাট থাকার কারণে অনেক বেশি গ্রহণ না করাই ভালো তাহলে ওজন বাড়তে
পারে।
প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত তা অনেকেই জানেনা। কাঠবাদাম অনেক
পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার তাই এটি কম বেশি সকলেই খেয়ে থাকে। তবে এটি দিনে
কয়টি করে খেতে হয় তা সম্পর্কে অনেকে জানে না এর ফলে অনেকে পরিমাণে অনেক বেশি
খেয়ে থাকে যার ফলে বদহজম গ্যাস্ট্রিক এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই
সঠিক পুষ্টি ও উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই পরিণত পরিমাণে এটি খেতে হবে। কাঠবাদাম
কয়টি খাওয়া উচিত তার নিচে উল্লেখ করা হলো।
একজন সুস্থ মানুষের জন্য দিনে ১মুঠ কাঠ বাদাম যথেষ্ট একমুঠে ৭ থেকে ৮ টি বাদাম
ধরে। কেউ যদি এর চাইতে বেশি খেতে চাই তাহলে সর্বোচ্চ ১৪ টা পরিমাণ খেতে পারে আর
সর্বনিম্ন ৪ টি। তবে অবশ্যই ১৪ টির বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর। খালি পেটে কাঠ বাদাম খেলে অনেক ভালো উপকারিতা পাওয়া
যায়। খুব ভালো উপকার পেতে হলে রাতে এটি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা
ছাড়িয়ে খালি পেটে খেলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কাঠবাদাম কখন খাওয়া উচিত
কাঠবাদাম কখন খাওয়া উচিত এটি অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। আসলে কাঠ বাদাম
খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যার যখন ইচ্ছে সে তখন কাঠ বাদাম খেতে পারে
তবে। খালি পেটে যদি কাঠবাদাম খাওয়া যায় তাহলে সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া
যায়। এ ক্ষেত্রে সারারাত কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা
ছাড়িয়ে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। কোন পুরুষ মানুষ যদি অন্তত
সাতটি করে কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খায় তাহলে তার শুক্রাণুর মাত্রা
বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, এবং ভালো
ফ্যাট রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কেউ যদি খালি পেটে
প্রতিদিন কাঠবাদাম খেয়ে থাকে তাহলে তার হজম শক্তি উন্নত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমরা যদি প্রতিদিন খালি পেটে
সীমিত পরিমানে কাঠবাদাম খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরের যে পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ
প্রয়োজন আমরা তা কাঠবাদামের মধ্যেই পেয়ে যাব।
কাঠবাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কাঠবাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি. আপনারা যদি স্বার্থ সম্পর্কে
সচেতন থাকেন তাহলে অবশ্যই সকালে কারবা যামু কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
কেননা আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কাঠ বাদামও কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের
দিন সকালে খালি পেটে খান তাহলে আপনার অনেক খানি পুষ্টি উপাদান দিনের শুরুতেই
পেয়ে যাবেন। যা আপনার ত্বক ও চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে।
এছাড়াও মেয়েদের যখন মাসিক হয় তখন অনেক সময় তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় বা টানটান
এক প্রকার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেউ যদি
কাঠবাদাম ও কিসমিস একত্রে খেয়ে থাকে তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাবে। আবার এ
দুটি উপাদান একত্রে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে
যে বাদামও কিসমিস খেলে মস্তিষ্কের বিকাশ কে ত্বরান্বিত করে।
আরো পড়ুনঃ
কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা
তাই ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও কাঠবাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ালে তাদের মস্তিষ্ক
বিকশিত হয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বাদাম রক্তের খারাপ
LDLকোলেস্টেরল কে দূর করতে সাহায্য করে এবং hdl ভালো রক্তের কোলেস্টেরল
বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যায়।
ভেজানো কাঠবাদাম ও কিসমিস ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করে থাকে। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না কাঠবাদাম ও কিসমিস আমাদের জন্য
অনেক উপকারী।
সকালে খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। কেননা কাঠ বাদামে এমন এক
উপাদান রয়েছে যা অনেক ধরনের খাবারে থাকে না বিশেষ করে কাঠবাদামে রয়েছে ওমেগা
থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মূলত সকল ধরনের খাবারই বিদ্যমান থাকে না এতে আরো
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই,ম্যাঙ্গানিস, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ,
জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, এর মত অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঠ বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয় ও হাড় যে সকল ব্যথা
অনুভব হয় সে ব্যথাগুলো দূর হয়ে যায়। এছাড়াও যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে
অল্পতেই যাদের বদহজমের সমস্যা হয় তারা কাঠ বাদাম খেলে তাদের হজমের সমস্যা সমাধান
হয়। এক্ষেত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে
কাঠবাদাম খেলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কেননা কাঠ বাদাম মেটাবলিজাম
সিস্টেমকে উন্নত করে।
এছাড়াও কাঠ বাদাম সবচাইতে যেটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে তার ডায়াবেটিস রোগীদের
ক্ষেত্রে।কেননা এটি রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং
ইনসুলিন এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে সোডিয়াম এর পরিমাণ খুব কম থাকে
এবং পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকার কারণে রক্তচাপনিয়ন্ত্রণে রাখতে
পারে। তাছাড়াও কাঠ বাদামে ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক এসিড রয়েছে যা রক্ত জমাট
বাঁধতে বাধা প্রদান করে থাকে ফলে হার্ট ও ভালো থাকে।
শেষ মন্তব্যঃ কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক
কাঠবাদামের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম। আশা করি
আপনারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আমরা কি বুঝাতে চেয়েছি তা
বুঝতে পেরেছেন। এখানে কাঠবাদামের যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটি তুলে ধরা
হয়েছে তবে এটি বেশি পরিমাণ খেলে কি ধরনের ক্ষতি হয় সে বিষয়টি খুব ভালোভাবে
আলোচিত হয়েছে।
কেননা সকল জিনিসেরই প্রতিক্রিয়া রয়েছে ঠিক তেমন কাঠবাদাম অনেক পুষ্টিগুণ
সম্পন্ন খাবার হলেও কেউ যদি এটি বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলে তাহলে তার বদ হজম সহ
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে
তাহলে অবশ্যই আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই ধরনের নিত্য
নতুন তথ্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন ধন্যবাদ।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url