রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতারক্তের এলার্জি দূর করার উপায় কি এটা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। আজকের
আর্টিকালে রক্তে এলার্জি কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা
করব। আপনারা একটি বিষয় অনেকে জানেন না যে আমাদের সকলের রক্তে কম বেশি
এলার্জি রয়েছে। কিন্তু কারো ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দেয় আবার কারো ক্ষেত্রে
এলার্জির উপসর্গ দেখা যায় না।
এলার্জি রোগটা এটি খুবই একটি পরিচিত রোগ এবং স্বাভাবিক বিষয়। কারো ক্ষেত্রে
যেকোনো ধরনের খাবারের কারণেও এলার্জি হতে পারে। তবে এটি খুব স্বাভাবিক
একটি বিষয় হলেও অনেক সময় এটি খুবই বেশি কষ্ট কর ও অস্বস্তিকর হয়ে
থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন রক্তে এলার্জি হওয়ার পেছনের মূল কারণ
হচ্ছে রক্ত দূষিত হওয়া
পেজ সূচিপত্রঃ রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
- রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
- চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়
- রক্তে এলার্জির লক্ষণ
- নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার উপায়
- এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ
- হাতের এলার্জি দূর করার উপায়
- শেষ মন্তব্যঃ রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়টি এখন আলোচনা করব। ঘরে অনেক সময় ধুলোবালি জমে
থাকে আর তা পরিষ্কার করতে গেলে কারো কারো হাচি শুরু হয় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে
যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ফুলের গন্ধ নিলে গরুর মাংস, চিংড়ি,
ইলিশ, গরুর দুধ খেলে এলার্জি বেড়ে যায়। করে খুব দ্রুত ।কেননা এলার্জি
পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আসুন রক্তের এলার্জি দূর করার
উপায় গুলো জেনে নিই।
১. ধূমপান পরিহারঃ ধূমপান করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই
ক্ষতিকর। যারা ধূমপান করে থাকে তাদের রক্তে এলার্জির মাত্রা বেড়ে যায়
এজন্য ধূমপান করা থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে।
২. শরীরের অতিরিক্ত চর্বিঃ কারো শরীরের যদি অতিরিক্ত চর্বি থাকে তাহলে
সেক্ষেত্রে এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের সকলের
উচিত আমাদের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাতে অতিরিক্ত মেদ তৈরি না হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত মসলা ব্যবহারঃ আমরা অনেকেই খাবারে বেশি মসলা ব্যবহার করে
থাকি। যার ফলে অতিরিক্ত মসলা গ্রহণের জন্য রক্তে এলার্জি তৈরি হওয়ার
আশঙ্কা থাকে তাই রান্নার ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে মসলা কখনোই ব্যবহার করা ঠিক নয়।
আরো পড়ুনঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
৪. টক দই গ্রহণঃ টক দই এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার শরীর লো পেটকে
ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে কেউ যদি নিয়মিত টক দই গ্রহণ করে থাকে সে ক্ষেত্রে
এলার্জির সমস্যা থেকে অনেক টাই পরিত্রাণ পেতে পারি।
৫. এলার্জি যুক্ত খাবার বর্জনঃ যদি কারো শরীরে এলার্জির মাত্রা বেশি
থাকে তাহলে খাবারের ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। সব সময় যেসব খাবারে
তার এলার্জি হয় সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
এছাড়াও প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এবং
অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে। বেশি পরিমাণে লবণ খাওয়া যাবেনা
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গ্রিন টি খেতে পারলে খুব ভালো হয়
এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সর্বদা পরিহার করে চলতে হবে। আমরা যদি
প্রতিনিয়ত এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে এলার্জির ফলে যে আমাদের অস্বস্তিকর
একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা থেকে আমরা মুক্তি পাব ইনশাআল্লাহ।
চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়
চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে অনেকের প্রশ্ন থাকে। চর্ম বা ত্বকের
একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার নাম হলো এলার্জি। এ সমস্যার ফলে ত্বকের
চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা
ঘামাচির মত দেখা দেয়। আবার ব্যাক্তি ভেদে কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি গোল
গোল হয়ে বড় বড় আকারের হয়ে থাকে। অনেক সময় চর্ম এলার্জি অনেক বেশি
কষ্টকর হয়ে থাকে।তাই আজকে আমরা চর্ম এলার্জি খুব সহজে কিভাবে দূর করা যায়
সে বিষয়গুলো জেনে নিব।
১. যদি কারো চর্ম এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি হাতের কাছে থাকা মধু
তার উপশমের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কেন না মধুতে প্রদাহ বিরোধী উপাদান
রয়েছে যা এলার্জির ফুসকুড়ি কমাতে কার্যকরী হয়ে থাকে।
২. ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েলঃ কেউ যদি চর্ম এলার্জির সমস্যায়
ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই গোসলের সময় পানির সাথে লেভেন্ডার এ্যাসেনশিয়াল
অয়েল মেশিয়ে নিয়ে গোসল করবেন। আর রাতে ঘুমানোর সময় একবার এই অয়েলটি
ভাপ নিবেন।
৩. অ্যালোভেরাঃ চর্ম এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হল
এলোভেরা। এলোভেরাতে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা চর্ম এলার্জি শুষ্কতার
সমস্যা এগুলো সব দূর করতে কার্যকরী হয়ে থাকে। তাই চর্ম এলার্জি দূর করার
ক্ষেত্রে আমরা এলোভেরা ব্যবহার করতে পারি।
৪. তিতা জাতীয় খাবারঃ চর্ম এলার্জি দূর করার ক্ষেত্রে খাবারের দিকে
খুব ভালোভাবে নজর দিতে হয়। কেউ যদি তার খাবারের তালিকায় তিতা জাতীয়
খাবার প্রতিদিন খেয়ে থাকে তাহলে অনেক অংশে তার চরম এলার্জি দূর হয়ে
যায়। যেমন করলা, নিমপাতা ভাজা বা সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার
অভ্যাস করুন।
৫. ঠান্ডা এড়িয়ে চলাঃ চর্ম এলার্জিতে যারা ভোগেন তারা অবশ্যই ঠান্ডা
পরিহার করে চলতে হবে কোন সময় শরীরে বেশি ঠান্ডা লাগানো যাবে না। খালি পায়ে
হাঁটা থেকে বিরত থাকতে হবে ফ্লোরে ঘুমানো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং গোসলের
ক্ষেত্রে অনেক সময় ধরে গোসল করা যাবে না।
৬. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা চর্ম এলার্জি থেকে
বেঁচে থাকার প্রধান শর্ত। নিয়মিত গোসল করতে হবে এবং পোশাক পরিস্কার
পরিছন্নতা রাখতে হবে এবং ঘরের বিছানা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে
হবে। বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ডাক্তারের
পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
রক্তে এলার্জির লক্ষণ
রক্তে এলার্জির লক্ষণ গুলো কি কি এটা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। যখন
রক্তে এলার্জি দেখা দেয় তখন অনেকগুলো উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয়। আমরা যদি
এ বিষয় সম্পর্কে জেনে থাকি তাহলে অবশ্যই উক্ত উপসর্গগুলো দেখা দিলে বুঝতে
পারব যে আমাদের এলার্জি সমস্যা বেড়ে গেছে। তাহলে আসুন দেরি না করে রক্তে
অ্যালার্জি লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
-
শরীরের বিভিন্ন অংশে অনেক বেশি চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়।
- অনেক সময় নাক দিয়ে অতিরিক্ত পানি ঝরে
- অনেকের ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় এবং পেট কামড়ায়
- অনেক সময় হজমের সমস্যা হয় এবং হজম শক্তি কমে যায়
- চোখ লাল হয়ে যায়
- বুকে ও গলায় চাপ অনুভব হয়
- নাকের ঘ্রাণ শক্তি কমে যায়
- অনেকের ক্ষেত্রে বারবার বমি হয়
- ঠোঁট গলা জিব্বা এগুলো অনেক সময় ফুলে যায়
নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আপনাদের ধারনা দিব
ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা নাকের এলার্জির কারণে ভীষণ
অসুবিধার সম্মুখীন হয়। অনেক সময় না করে এলার্জির জন্য অতিরিক্ত হাঁচি পরে
এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । যে কোন জিনিস থেকে নাকের অ্যালার্জি
শুরু হতে পারে। তাই নাকের এলার্জি থেকে কিভাবে দূরে থাকবেন এবং কিভাবে তা
প্রতিরোধ করা যায় আসুন সে সম্পর্কে ঘরোয়া কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক।
নাকের এলার্জি থেকে দূরে থাকতে হলে প্রথমে যে জিনিসটি করতে হবে সেটি হলো জামা
কাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বিছানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যে সকল
স্থানে ধুলোবালি ময়লা রয়েছে সেই সকল স্থান এড়িয়ে চলতে হবে এবং অতিরিক্ত
ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। গোসলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা
যাবে না পশু পাখির লোম যেন নাকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন
প্রডাক্ট ব্যবহারের আগে সেটি অ্যালার্জি সৃষ্টি করছে কিনা আগে সেটা চেক করে নিতে
হবে।
নাকি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালার্জি হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ গুলো গ্রহণ করতে
হবে। এছাড়া ও নাকের এলার্জি কমানোর জন্য নজেল ব্যবহার করতে
পারেন। এছাড়াও তুলা থেকে সর্বদা দূরে থাকতে হবে কারণ তুলার মধ্যে ছোট ছোট
কণা থাকে যা অনেক সময় নাকের মধ্যে প্রবেশ করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি
করে। তাই তুলা থেকে দূরে থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
শীতকালে রূপচর্চা
নাকের এলার্জি দূর করার প্রধান একটি ঘরোয়া উপায় হলো কিছু নিম পাতার সংগ্রহ করে
সেগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে এরপর এগুলো গুড়া করে এক চামচ ইসব গুলের
ভুষির সাথে মিশিয়ে পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে
উঠে খালি পেটে তা গ্রহণ করতে হবে নাকের এলার্জির সমস্যা অনেকাংশে কমে
যাবে।
নাকের এলার্জি যদি কারো হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অনবরত হাচি পড়তে থাকে তাহলে
হাচি থামানোর জন্য একটি মাঝারি সাইজের এলা্চ ভালোভাবে ধুয়ে মুখে চিবাতে হবে
কেননা এলাচের রস বিশেষ করে নাকের এলার্জি বা হাচির জন্য খুবই উপকারী। তাই
আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি যদি কারো নাকের এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে
এই ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করলে অবশ্যই নাকের এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া
যাবে।
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার উপায়
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার উপায় কিছু উপায় রয়েছে। শুধু বড়দেরই
এলার্জির সমস্যা থাকে না বর্তমানে বাচ্চা দিয়ে ওই এলার্জির সমস্যা দিন দিন বেড়ে
চলেছে। বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের যদি এলার্জি সমস্যা বেশি হয় তাহলে সে
ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় গরম
কাপড় থেকেও এলার্জি দেখা দিতে পারে শিশুদের এলার্জির সমস্যা হয়ে গেলে তাদের
ত্বকে ফুসকুড়ি, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি হাচির সমস্যা দেখা
দেয়।
বাচ্চাদের অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখার জন্য প্রথমে তাদের পোষাক খাবারের
বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।যেসব কাপড়ে এলার্জির সমস্যা হয় বা যে সকল খাবারে
এলার্জি সমস্যা হয় সেগুলো থেকে দূরে রাখতে হবে। ধুলোবালি যুক্ত নোংরা
পরিবেশে যেতে দেওয়া যাবে না বাহিরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে দিতে
হবে। যদি তুলে রাখা জামা কাপড় পরানো হই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আইরন করে পরাতে
হবে।
অনেক বাচ্চারা খুব পোশা প্রাণীদেরকে ভালোবেসে থাকে। তবে পোষা প্রাণী থেকে
অনেক সময় এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সকল ধরনের পোষা প্রাণী
থেকে শিশুদেরকে দূরে রাখায় উত্তম। শিশুদেরকে সব সময় সুতি কাপড় পড়াতে হবে
কারণ সুতি কাপড় পড়ালে বাচ্চারা অনেক আরাম বোধ করে। তারপরেও যদি শিশুদের
এলার্জির সমস্যা না কমে সেক্ষেত্রে নিজে নিজে কোন প্রকার ঔষধ না খাইয়ে অবশ্যই
চিকিৎসকের কাছে দ্রুত শরণাপন্ন হতে হবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ গুলো কি আসুন জেনে নেওয়া যাক। এলার্জি
চুলকানি এটি খুবই একটি পরিচিত সমস্যা। এটি খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় হলেও
অনেক সময় কোন কোন মানুষের ক্ষেত্রে তা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে
থাকে। তাই খুব দ্রুত এলার্জির সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং
ঔষধ সেবন করা উচিত। আসুন আমরা অ্যালার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ গুলো কি একটু
দেখে নিই।
- Cetrizine
- Lorataddine
- Diphenhydramine
- Ordin
- Fexofenadine
- Alatrol
- Drama 50
- Diphenhyramine
- Desloratadine
আমি ওপরে যে কয়টি ওষুধ বললাম এ ওষুধগুলো অ্যালার্জির চিকিৎসার
ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আপনারা যদি এলার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন
তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ
সেবন করবেন না হলে অনেক সময় নিজে নিজে ঔষধ সেবনের ফলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । তখন সমস্যা ভালো হওয়ার বদলে সমস্যা বৃদ্ধি পাবে
তাই এলার্জি যাতে অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ
মেনে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
হাতের অ্যালার্জি দূর করার উপায়
হাতের এলার্জি দূর করার উপায় এটা অনেকের প্রশ্ন করে থাকেন। রক্তের এলার্জি
দূর করার উপায় ইতিমধ্যে জেনেছি। হাতের এলার্জি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় বরং এখন
প্রায়ই মানুষের এই সমস্যাটি রয়েছে। হাতের এলার্জির কারণে অনেকে সাবান বা
ঠান্ডা পানি ধরতে পারে না এগুলোর সংস্পর্শে এলে অনেক সময় খুব কষ্ট অনুভব
করে। অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করার পরেও সুফল মেলেনা। তাই এই
ব্যাপারে আমরা কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
-
যতটা সম্ভব হাত কম ভিজানোর চেষ্টা করতে হবে সম্ভব হলে বারবার পানির সংস্পর্শে
যেতে হলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে
-
মাথায় যদি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে
হবে।
- ডিটারজেন্ট সরাসরি যেন হাতে না ভরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজনে প্লাস্টিক গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে
- ওল কচু এগুলো খালি হাতে ধরা থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও বেগুন কাঁচা মাংস ভিজা ডাইপার এগুলো হাত দিয়ে সরাসরি স্পর্শ করবেন না।
শেষ মন্তব্যঃ রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
প্রিয় ভিজিটর আশাকরি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন কিভাবে রক্তের এলার্জি দূর করা
যায়। এখানে রক্তের এলার্জি দূর করার পাশাপাশি আরো যেমন হাতের এলার্জির
নাকের এলার্জি বাচ্চাদের এলার্জি কিভাবে দূর করা যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনাদের যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের
লেখালেখি গুলো আপনাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন
না। আর আমাদের পোষ্টের মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল দেখতে পান তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট সেকশনে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমরা তা সংশোধন করবো
ইনশাআল্লাহ। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url