এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিকএলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। এলোভেরা খুবই পরিচিত একটি নাম এটা জেনে নাই এমন মানুষ বর্তমানে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর এটি প্রাচীনকাল থেকে মানুষের বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে। এলোভেরার ভেতরের এক ধরনের স্বচ্ছ আঠার মত পদার্থ দেখা যায় যার অনেকগুলো অনেকগুলো গুণ রয়েছে।
পুরুষদের-জন্য-এলোভেরার-উপকারিতা
অনেকে অনেক ভাবে এলোভেরা ব্যবহার করে থাকে। কে ওর রূপচর্চায় এলোভেরা ব্যবহার করে থাকে আবার কেউ ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এলোভেরা জেল খুবই উপকারী। এলোভেরা তে ভিটামিন ই ভিটামিন সি ফলিক অ্যাসিড ও অল্প পরিমাণে খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকে। আসুন এলোভেরা উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। কেননা এটি পরিচিত একটি সরস উদ্ভিদ। এলোভেরা তে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান এ ছাড়া ওই এতে কলিন বিদ্যমান। এই উপাদানগুলো মুক্ত রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে থাকে।এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মানুষ অনেক আগে থেকে রূপচর্চার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকে। নিচে এলোভেরার উপকারিতা অপকারিতা উল্লেখ করা হলো।

অ্যালোভেরার উপকারিতা

ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রেঃ অনেকের মুখের পিম্পল অর্থাৎ ব্রণের মত সমস্যা থেকে থাকে এই ধরনের সমস্যা হলে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক ব্যথা অনুভব হয়। মুখে ব্রণ দূর করার জন্য অনেকে এলোভেরা ব্যবহার করে খুব ভালো ফলাফল পেয়ে থাকে। দিনে দুইবার এলোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। তাই কারো যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ ভালো হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
রূপচর্চার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরাঃ রূপচর্চার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার উপকারী দিকগুলো বলে শেষ করা যাবে না অনেক আদিকাল থেকে রূপচর্চ চাই এলোভেরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে এখন পর্যন্ত এলোভেরা জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছে এটি এক ধরনের সরস প্রজাতির উদ্ভিদ। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অনেক পুষ্টি উপাদান থাকার জন্য ত্বকের ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা দূর করে এলোভেরা। 

এটি ত্বকের যত্নে ক্লিনজার হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে থাকেন কেননা এটি ব্যবহারের ফলে ত্বক নরম থাকে এবং সকল ধরনের দাগ দূর হয়। এলোভেরা ত্বকের মৃত কোষকে অপসারণ করে। নাইট ক্রিম হিসেবেও কাজ করে অ্যালোভেরা জেল রাতে ব্যবহার করে পরের দিন সকালে মুখ ধুলে মুখের মসৃণতা বৃদ্ধি পায় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এতে খনিজ উপাদান বিদ্যমান যা কোষকে সুস্থ রাখে ও মেস্তার মত দাগ কেউ দূর করতে সাহায্য করে।

চুলের যত্নে এলোভেরাঃ চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও অ্যালোভেরার জুড়ী নেই। এটি রূপচর্চার পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।চুলের যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে এলোভেরা কার্যকরী একটি উপাদান। এটি ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রেখে ত্বকের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। সে ছাড়া ঐ অ্যালোভেরা তেল ভিটামিন সি রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করে থাকে। এছাড়াও মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যার সমাধান করে। 

এলোভেরা চুলের মসৃণতা বজায় রেখে চুলকে প্রাণবন্ত করার পাশাপাশি চুলকে সিল্কি করতে সাহায্য করে। চুলের আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে। চুলকে গোড়া থেকে শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণ সালিসিলিক অ্যাসিড, ইউরিয়া, নাইট্রোজেন, ফেনল, সালফার এ ধরনের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার জন্য চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান করে চুলকে সুন্দর ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এলোভেরা জুস অত্যন্ত উপকারী এটি যদি ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন খেয়ে থাকে তাহলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়াও যাদের কষ্ট কাঠিন্যের মতো সমস্যা রয়েছে তারা যদি এলোভেরার জুস খায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।এমন কি ওজন বৃদ্ধি বর্তমানে একটি বড় সমস্যা এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলেও অ্যালোভেরার গুরুত্ব অপরুসীম। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

এলোভেরার অপকারিতা

এলোভেরার এত সব উপকারিতা সত্বেও কিছু কিছু ভুলের কারণে বা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক সময় দেখা দেয়। অনেক সময় যদি কেউ অনেক বেশি পরিমাণ মানে এলভেরা খেতে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে তার রক্তের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কিডনির সমস্যা করতে পারে। আবার গর্ববতী মা যদি খেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রেও ক্ষতি হতে পারে। এমন কি যে সকল মা তার সন্তানকে দুধ পান করায় তাদের ক্ষেত্রেও এটি এড়িয়ে চলা উচিত। 

এলোভেরার রস খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবেনা এটি পরিমিতভাবে ডোজ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কেননা এটি যদি কেউ বেশি খেয়ে নেয় তাহলে তার ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা যদি এটি ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার অ্যালার্জি সমস্যা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত অ্যালোভেরার রস খেলে বমি বমি ভাব হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই বেশি এটি ব্যবহার করা ঠিক নয় কেননা সব কিছুর একটা সীমা থাকে। 

পুরুষদের জন্য এলোভেরার উপকারিতা

পুরুষদের জন্য এলোভেরার উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি। একজন পুরুষ যদি সুস্থ ও সুন্দর থাকতে চাই তাহলে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই অ্যালোভেরা না রাখলেও সপ্তাহে দু-তিন দিন রাখা অনেক বেশি উপকারী।ছেলেদের যৌবন ধরে রাখতে ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে এলোভেরার গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আসুন পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক। 
পুরুষদের-জন্য-এলোভেরার-উপকারিতা
টক্সিন নির্মূল করেঃ এলোভেরার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে লুকিয়ে থাকা দূষিত টক্সিন গুলো বের করে দিতে পারে। একজন পুরুষ মানুষকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাই সে যদি প্রতিদিন এলোভেরার জুস করে খায় তাহলে তার শরীরের দূষিত টক্সিন বের করে। শরীরকে এনারজেটিক ও কর্মঠ করে তুলতে সাহায্য করে। এটির রস নিয়মিত পান করলে শরীর খুব সহজে ক্লান্ত হয় না। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কারণ এতে ভিটামিন সি রয়েছে। 
এলোভেরা পুরুষদের জন্য অনেক উপকারী কেননা এলোভেরার রস পান করলে টেস্টস্টেরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে যার ফলে  পুরুষদের কাম শক্তি ও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে এলোভেরা উপকারিতা অনেক বেশি। কোন পুরুষ যদি তার ত্বকের সৌন্দর্যের পাশাপাশি নিজের যৌবন ধরে রাখতে চাই তাহলে সে যদি প্রতিদিনের খাদ্যে তালিকায় এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস রাখে তাহলে তার শরীরের জন্য তা ম্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে। 

খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয়

খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয় এটা সম্পর্কে অনেকে জানেনা। এটা খুবই পরিচিত ও মানুষের শরীরের জন্য উপকারী সরস উদ্ভিদ। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এতে মিনারেল ও খনিজ রয়েছে। অনেক ধরনের খনিজ উপাদান এলোভেরাতে বিদ্যমান থাকার জন্য ইহা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম কপার, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি রয়েছে। 

এছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,  ভিটামিন ই, ভিটামিন b1 , ভিটামিন b2 , ভিটামিন b3 ভিটামিন b6 ও ভিটামিন b12 বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও এলোভেরাতে হয়েছে ১৮ থেকে ২০ ধরনের এমাইনো এসিড যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আরো রয়েছে কলিন এসিড ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান রয়েছে। এলোভেরাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে থাকে। এলোভেরার জুস সকালে খেলে কাজ করার ক্ষমতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

এলোভেরাতে এমন কিছু ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে যেগুলো রক্তের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে যারা ডাইবেটিস রোগী তাদের ক্ষেত্রে এলোভেরা জুস খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে এবং তাদের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার মধ্যে যে আঠালো রস রয়েছে তা পরিপাকতন্ত্রকে খুব সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। এলোভেরা দেহের সাদা ব্লাড সেট বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। 

এছাড়া ও যাদের ডিহাইড্রেট বা শরীর শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের ক্ষেত্রে এলোভেরা জুস খুবই কার্যকরী অ্যালোভেরার জুস পান করার মাধ্যমে শরীরের হাইড্রেট ধরে রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও খালি পেটে এ জুস খেলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা থেকে থাকলে তার সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয়।যাদের খুব বেশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা যদি সকালে খালি পেটে এলোভেরা জুস পান করে তাহলে তার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা

অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা আমরা কম-বেশি অনেকে জানি। এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী এটা খুবই পরিচিত একটি সরস উদ্ভিদ। এলোভেরা চিনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এলোভেরা অনেক আগে থেকে মানুষ নিজস্ব রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকে এছাড়াও অ্যালোভেরা তে এমন কিছু ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই স্বাস্থ্য সচেতন মহল নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করে থাকেন। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা। 

এলোভেরা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে কেননা এলোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের মধ্যে যে সকল দূষিত রক্ত থেকে থাকে তা বের করে দিতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয় এবং রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের যেকোন স্থান বা মাংসপেশি যেকোনো ব্যথা উপশম করতে অ্যালোভেরা জুস সাহায্য করে।এছাড়াও ব্যথাযুক্ত স্থানে এলোভেরা ক্রিম লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

এছাড়াও দাঁতের যত্নেই অ্যালোভেরার জুস খুব ভালো কাজ করে থাকে। অনেক সময় বাড়িতে তীব্র ব্যথা হয় এই ব্যথা দূর করতেও এলোভেরা রস কার্যকরী। এছাড়াও দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন ও দাঁতের ক্ষয় রোধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে এলোভেরা জুস পান করে কোন ক্ষতি ছাড়াই ওজন কমানো যায়। এছাড়াও কারো যদি হজমের সমস্যা হয়ে থাকে তারা যদি নিয়মিত এলোভেরার জুস খায় তাহলে তার হজম ক্রিয়া খুব ভালো কাজ করে। 

এলোভেরা ডাইবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী। কেননা এটি রক্তের সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কারো যদি প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে সে যদি প্রতিদিন এলোভেরার জুস পান করে তাহলে তার ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও অ্যালোভেরার জুড়ে নেই। এলোভেরা তে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রনের মত সমস্যা দূর করতে সক্ষম তাছাড়া ও চুল ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

ত্বকে এলোভেরার উপকারিতা

ত্বকে এলোভেরা উপকারিতা অনেক বেশি। কেননা অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল যা আমাদের ত্বকের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এলোভেরা থেকে জেল বের করে তা যদি মুখে মধুর সাথে মিশ্রিত করে ব্যবহার করা হয় তাহলে মুখের দাগ দূর হয়ে যায়। এছাড়াও যাদের মেছতার মত সমস্যা রয়েছে তারা যদি এলোভেরা জেল এর সাথে শসা পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করে তাহলে তার দাগ অনেক অংশে কমে যাবে। 

এছাড়াও স্ক্রাবার আবার হিসেবে এলোভেরা জেল খুবই ভালো কাজ করে থাকে চালের গুড়ার সাথে যদি কিছু এলোভেরা জেল দিয়ে তা একত্রে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা হয় সপ্তাহে একদিন তাহলে ত্বকে যত মৃত কোষ রয়েছে সেগুলো দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ত্বকে কোনরকম ক্ষত সৃষ্টি হলেই এলোভেরা জেল সেখানে দিলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়। রাতে যদি কেউ অ্যালোভেরা জেল মুখে মেখে ঘুমিয়ে যায় এবং পরের দিন সকালে উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খেলে তাহলে ভালো উপকার পাবে। 

চুলের যত্নে এলোভেরা

চুলের যত্নে এলোভেরা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ত্বকের যত্নে যেমন অ্যালোভেরা ব্যবহার করে আসছে ঠিক তেমনি চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও অ্যালোভেরা ব্যবহার করে আসছে। এলোভেরার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে এবং চুলকে প্রাণবন্ত ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে কাজ করে। 

এলোভেরা তে এন্টি ইনফ্লিমেন্টরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তাই সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে চুলকে প্রটেক্ট করতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে চুলের রং এবং এর শাইনিং ভাব সর্বদা বজায় থাকে। তাছাড়াও এলোভেরার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুলকে শক্তিশালী ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে থাকে। এলোভেরা চুলের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে ও স্কেলপের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা চুল বৃদ্ধি করতে খুবই প্রয়োজনীয়। 

এছাড়াও এলোভেরা তেল ভিটামিন এ সি ও ই রয়েছে যা ফ্রি রেডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে। যাদের চুলের অনেক বেশি খুশকির সমস্যা রয়েছে তারা ও নিয়মিতভাবে এলোভেরা ব্যবহার করলে খুশকি সমস্যা সমাধান হয় এবং চুলের গোড়া নরম হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে জবা ফুল ও মেথির  সাথে এলোভেরা জেল সবকিছু একসাথে পেস্ট বানিয়ে গোসলের আধা ঘন্টা আগে চুলে ব্যবহার করার পরে তা ধুয়ে ফেললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এরূপ সপ্তাহে তিন দিন করা উচিত। 

শেষ মন্তব্যঃ এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আশা করি আপনারা এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।আমাদের শরীরের জন্য অ্যালোভেরা কতটা উপকারী ও কি ধরনের উপকার করে থাকে তা ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তাছাড়া এলোভেরা চুল ও মুখের যত্নেও অনেক উপকারী এ বিষয়টিও ক্লিয়ার করা হয়েছে। এলোভেরা অনেক উপকারী হওয়া সত্বেও এর বেশি ব্যবহার অনেক সময় অপকারিতা বয়ে আনে তাই সতর্ক থাকতে হবে অ্যালোভেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে। 

আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কোন উপকার করে থাকে তাহলে আমাদের সার্থকতা আমরা সর্বদা আমাদের লেখনীর মাধ্যমে আপনাদের অজানা বিষয়গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করি।আমাদের আর্টিকেলে যদি আপনাদের কোন রকম ভুল ত্রুটি চোখে পড়ে তাহলে তা আমাদেরকে অবশ্যই অবগত করবেন তা আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। এ ধরনের আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url